গেইলের ঝড়ো শতকে বড় জয় রংপুরের
আক্তারুজ্জামান : জয়ের জন্য রংপুরের দরকার ১৬৮। ঢাকার মাঠে এই রান তাড়া করতে হয়তো একটু বেগ পাওয়ার কথা। কিন্তু কোথায় বেগ, আর কোথায় চিন্তা! সব যেন হাওয়ায় উড়িয়ে দিতে শুরু করলেন ক্রিস গেইল। ক্যারিবীয় এ দানব যেদিন খেলেন সেদিন পাহাড়সম রানটাও হয়ে যায় ছোট্ট একটি লক্ষ্য।
হতে হতেও যেন হচ্ছিল না এবারের বিপিএলে একটি শতক। বিনোদনে মাতিয়ে রেখে গেইলই দর্শকদের সেই আশা পূরণ করলেন। সেটিও আবার মাত্র ৪৫ বলে! ৬টি চার ও ১০টি দর্শনীয় ছক্কায় ব্যক্তিগত শতকে পৌঁছান গেইল। আর সেই সাথে হয়ে গেল এবারের বিপিএলের প্রথম শতক। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে ৪র্থ বারের মতো শতকের দেখা পেলেন গেইল। আর ২০ ওভারের ক্যারিয়ারে গেইলের এটি ১৯তম সেঞ্চুরি।
৮ উইকেটে জয় নিয়ে যখন গেইল মাঠ ছাড়েন তখন তার নামের পাশে ১২৬ রান। যেখানে খেলেছেন মাত্র ৫১টি বল। এই ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ১৪টি এবং চারের মার ছিল ৬টি। তার এই বিধ্বংসী ইনিংসে শেষ হয়ে গেল টাইটান্সদের পঞ্চম বিপিএল। গতকাল মিরপুরে এলিমিনেটিং ম্যাচের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে খুলনা টাইটান্স। ঢাকার মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াই করার মত পুঁজি গড়ে খুলনা।
ইনিংসের শুরুতেই রংপুরের বোলারদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসে খুলনার ব্যাটসম্যানরা। শান্ত ও আফিফের পর ছোট জুটি গড়ে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহও। ২০ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ওপেনার মাইকেল ক্লিঙ্গার উইকেটে জমে গিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। আরিফুলের সাথে জুটি গড়ে ভালো সূচনার ইঙ্গিত দিলেও ২১ রানের মাঝারি ইনিংস খেলে বোপারার শিকারে পরিণত হন তিনি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও খুলনার আশা হিসেবে ক্রিজে ছিলেন আরিফুল হক। ফর্মে থাকা আরিফুল দেখেশুনে খেলে দলের স্কোর বাড়াতে থাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লিঙ্গারের পথেই হাঁটেন তিনি।
খুলনার ইনিংসকে বড় করতে যে দুজন শেষের দিকে লড়াই করেছেন তারা হলেন ব্র্যাথওয়েট ও নিকোলাস পুরান। ব্র্যাথওয়েটের ৯ বলে ২৫ ও পুরানের ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংস খুলনাকে ১৬৭ রানে পৌঁছে দেয়। রংপুরের হয়ে মালিঙ্গা ২টি, সোহাগ গাজী, বোপারা ও নাজমুল ১টি করে উইকেটের দেখা পান। গেইলময় ম্যাচে ম্যাচ সেরা কে হতে পারে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।