ফরহাদ মজহার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন
ড. মিজানুর রহমান
ফরহাদ মজহারের বিষয়টি নিয়ে সকলের মাঝে একটা দ্বিধা-দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের কথা বলে পুরো ঘটনাটাকে ধুয়াশাছন্ন করেছেন। কেননা, তিনি প্রথম যখন নিখোঁজ হয়ে গেলেন, তখন কিন্তু প্রতিটি মানুষ কষ্ট পেয়েছিলেন। সব মহলের মাঝে একটা প্রতিবাদের সূর উঠেছিল। কোনো মানুষই ফরহাদ মজহারের হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গ্রহণ করতে পারেননি। কিন্তু পরবর্তিতে তিনি যেভাবে ফিরে আসলেন বা আইনসৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী তাকে উদ্ধার করে যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছিল, তখন কিন্তু ফরহাদ মজহার বা তার পরিবার কোনো প্রতিবাদ করেনি। যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হয়রানি করার জন্য ফরহাদ মজহার এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ চূড়ান্ত রিপোর্ট দিল, ঠিক তখন ফরহাদ মজহারকে চাপ দিয়ে এবং শারিরীক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন। এই কথাগুলো যদি তিনি পুলিশের প্রতিবেদন দেওয়ার আগে বলতেন, তখন তার বক্তব্যের অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা থাকত। কিন্তু তিনি যে পর্যায়ে এসে অভিযোগ তুলছেন তখন তার কথার যদি সত্যতা থেকেও থাকে, তবুও আপাত দৃষ্টিতে তার কথার গ্রহণযোগ্যতা অনেকখানি শিথিল হয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী এবং একজন মানবাধিকার কর্মীও বটে। তার কাছ থেকে এতো বিলম্বে একটা প্রতিক্রিয়া আমরা আশা করিনি। যার ফলে জাতির কাছেও তার বক্তব্য গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়েছে।
পরিচিতি : সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মতামত গ্রহণ : লিয়ন মীর/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ