ডিএসইতে ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
মাসুদ মিয়া : দেশের পুঁজিবাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর কিছুটা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছ। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেনে খরা। গতকাল প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসইতে ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিন্ম লেনদেন হয়েছে।
গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। আর সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স কমেছে ৮৮ পয়েন্ট। এদিকে বাজারে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, টানা দরপতনে কারনে বিনিয়োগকারীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বেশ কিছুদিন বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার কারণে স্বাভাবিপক মূল্য সংশোধন হচ্ছে। তাছাড়া মূল্যসূচক কমলেও লেনদেনের পরিমাণ হচ্ছে কম। এর অর্থ বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী তাদের শেয়ার হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না। কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়ে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৯৪টির আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির দাম।
বাজারটিতে আজ ৪৩২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগে গত ১৩ জুন ডিএসইতে ৪৩২ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছিল। টাকার অংকে রোববার ডিএসইতে সর্বাধিক লেনদেন হয়েছে সিমটেক্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাইয়ের ১২ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিগাসি ফুটওয়ার।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স আজ ৯২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৬০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। লেনদেন হওয়া ২৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে আগের দিনের তুলনায় দাম বেড়েছে ৭৮টির। অপরদিকে কমেছে ১৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দাম।