উৎপল দাস নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস!
পুলক ঘটক
গত রবিবার উৎপল দাস নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পূর্ণ হলো। তাকে উদ্ধার করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ একেবারে নিরব। গত দেড় মাস যাবত উৎপলের সহকর্মীরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন মানববন্ধন করছে। এরকম প্রতিদিনের নিরব শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচী অতীতে দেখা যায়নি। অথচ সাংবাদিকদের এই সেন্টিমেন্ট কেউ আমলে নিচ্ছে না। এগুলো খুব খারাপ লক্ষণ। উৎপল নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে সহকর্মীদের এই প্রতিবাদ স্বতঃস্ফুর্ত। কিছু সংগঠক থাকলেও সংগঠন নেই। কোনো সাংবাদিক সংগঠন এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেয়নি। নেতারা মাঝে মাঝে অন্যদের আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচীতে গলাবাজি করে গেছেন। দায়িত্ব নেননি। জনমতের চাপে কিংবা মুখ রক্ষার জন্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একদিন মানববন্ধন করেছে। উদ্ধারের জন্য অনন্তকাল সময় দিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। সেই থেকে সবাই চুপ। ইনকিলাবের সাংবাদিকদের পাওনা আদায়ের আন্দোলনে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে ডিইউজের বর্তমান সভাপতি/সম্পাদকের উপর আস্থা রাখার বাস্তব কোনো কারণ নেই। কাজেই সংগঠন ছাড়া আন্দোলন! খ্যাতিমান সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে মুক্ত করার আন্দেলন করতে গিয়ে আমি ডিইউজের ব্যানার ব্যবহার করতে পারিনি। আহমেদ রাজুকে মুক্ত করার জন্যেও ডিইউজের ব্যানার কাজে লাগেনি। ফটো সাংবাদিক আশিকের ক্ষেত্রেও মারাত্মক আপোষকামিতা দেখেছি। নেপথ্যের আপোষ পীড়াদায়ক। আমরা নির্বাচিত সাংবাদিক নেতারা সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে সহকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছি। তবে সাংবাদিকরা বসে নেই। আমাদের মমত্ববোধ আছে, ফেলো ফিলিংস আছে। তাই দিয়ে আমরা ঐক্য প্রতিষ্ঠা করব; হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাব। উৎপলকে উদ্ধার করতে হবে। পেশাগত অনিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তাহীনতাসহ সাংবাদিকদের সার্বিক দূরবস্থার অবসান ঘটাতে ঐক্যের বিকল্প নেই।
পরিচিতি : প্রধান প্রতিবেদক, দি ডেইলি অবজারভার/ ফেসবুক থেকে