মুক্তিযুদ্ধ প্রতিক্ষণ, মুক্তিযুদ্ধ নিরন্তর
ফকির আলমগীর
প্রত্যাশা ছিল মানবিক বিশ্বের সদস্য হওয়া। মানবিকতা যেন না হারিয়ে যায়। শোষণ, বঞ্চনা, দুঃশাসন, নির্যাতন, নিপীড়ন যেন না থাকে। শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আজো সখিনার নিকোনো উঠোনে উঠেনি স্বাধীনতার ফসল। আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের মশাল জ্বালিয়ে রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ প্রতিক্ষণ, মুক্তিযুদ্ধ নিরন্তর। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে যায় নি। মুক্তিযুদ্ধ চলছে। আমাদের প্রকৃত অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবেই।
প্রাপ্তি হচ্ছে জনগণের অপরিমেয় শক্তি। যার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আমাদের প্রজন্ম তাদের তথ্য প্রযুক্তি থেকে আরম্ভ করে জাতির যে অপরিমেয় শক্তি, সেটাই আমাদের একটা বড় অর্জন। আমরা স্বাধীনতার এই ৪৬ বছরে অনেক দিগন্ত উন্মোচিত করতে পারছি। আমাদের সঙ্গীত, ক্রিকেট, অভিনয় অনেক শাখায় অনেক অর্জন আছে। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তব রূপায়ন চাই। আমাদের যে মানব শক্তি, প্রজন্মের অপরিমেয় শক্তি, বিভিন্ন জন শক্তি, একটা জাতির জন্য বড় প্রাপ্তি। যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ, আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলাম। দুর্নীতি, হত্যা, হানাহানি এসব আমাদেরকে পিছিয়ে রেখেছে। জাতি আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারত। বিভেদ আমাদের কাম্য ছিল না। আমাদের বিভাজন নয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন ঐক্য ছিল, আজো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জঙ্গীবাদ, মৌলবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। আমাদের ভেতরে একটি মজবুত ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে, তা নাহলে আমাদের আকাশে কালো ছাঁয়া। যদি অপশক্তি আজকে সব কিছু দখল করে, তাহলে আমাদের যে উন্নয়ন, অগ্রগতির যে যাত্রা, সেটা বাধাগ্রস্ত হবে । রুশ বিপ্লবে আমাদের শ্লোগান ছিল ‘গড়ে তুলি মানবিক বিশ্ব’। মানবিক বিশ্বের সদস্য হতে হলে আমাদের মানবতার সুরক্ষা করতে হবে। আজকে মানবতা ক্ষুণœ হচ্ছে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, যথাযোগ্য ব্যক্তি যথাযোগ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত। বঞ্চনা, শোষণ, নিপীড়ন সমাজ থেকে যায় নি। যতদিন এসব থাকবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। মশালটিও জ্বালিয়ে রাখতে হবে। পেশী শক্তির আস্ফালন আমাদের কাম্য নয়।
পরিচিতি : গণসঙ্গীত শিল্পী
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ