মানবাধিকার একটি মাপকাঠি
ড. মিজানুর রহমান
বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকার এমন একটি মূল্যবোধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, একটি রাষ্ট্র যা কিছুই করুক না কেন, সেটি রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ সম্পর্কের কথাই বলি, আর বহির্বিশ্বের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথাই বলি, সবকিছু বর্তমানে মানবাধিকারের মাপকাঠিতে মাপা হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি রাষ্ট্রের কতটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, সবকিছুর মূলে বর্তমানে মানবাধিকারের ধারণা মানদন্ড হিসেবে কাজ করছে। একটি রাষ্ট্র কতখানি সভ্য এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কতখানি গ্রহণযোগ্য ও সম্মানের পাত্র হবে কি-না, সেটা নির্ভর করে সেই রাষ্ট্রের মানবাধিকারের মর্যাদার ওপরে। মানবাধিকার বর্তমানে আন্তর্জাতিক আইনে পড়েছে, যেখানে একটি সার্বভৌম সকল কর্মকা- পরিচালিত করতে হয় মানবাধিকারের নিরিখে। একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র ‘যেমন ইচ্ছে তেমন আচরণ’ কখনোই করতে পারে না। মানবাধিকার সকল সময়ই একটি মানদ- হিসেবে আবির্ভূত হয়। তাই মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা এবং বাস্তবে মানবাধিকার প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন করা প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক আইনগত একটি দায়িত্বে রূপান্তরিত হয়েছে। একজন রাষ্ট্রের নাগরিক যে কোনো দিক দিয়ে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। তখন একজন নাগরিক তার নিরাপত্তা বোধ করে এবং মানুষ উন্নত জীবন এবং মর্যাদা সম্পন্ন জীবনের জন্য যে নিরঙ্কুশ স্বপ্ন সংগ্রাম, সেই সংগ্রামের ভেতরে মানবাধিকার একমাত্র মাধ্যম এবং অস্ত্র। একজন অসহায় ব্যক্তিও সেটি ব্যবহার করতে পারে। তার মর্যাদার জায়গাটিকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
পরিচিতি : সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ