যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল বন্ধুরাষ্ট্র
মোহাম্মদ জমির
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করার যে সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়েছেন, এটা কোনো মতেই যুক্তিসংগত নয়। এমনকি এটা কোনো আইনসংগতও নয়। আন্তর্জাতিক আইনে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছে নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তগুলো। নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তগুলোর সাথে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার এই সিদ্ধান্তের কারণে পৃথিবীজুড়ে একটি অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আরও হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর মধ্যে ইসলামী দেশগুলোর সাথে অন্যান্য দেশগুলোও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলছে। সবাই চাইছে ট্রাম্প যেন তার এই মতকে প্রত্যাহার করেন। এই কারণে আমি মনে করি, ট্রাম্প অতি শীঘ্রই তার সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করবেন। না হলে, পৃথিবীজুড়ে সহিংসতা বাড়বে। এটা অহেতুক সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই নয়। এটা করার আগে ট্রাম্পের আরও ভাবা উচিত ছিল। এটা নিঃসন্দেহে ট্রাম্পের একক সিদ্ধান্ত। কারণ, তিনি ইসরাইলকে বন্ধু দেশ ভাবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল যে বন্ধুরাষ্ট্র এটা অনেক আগেই পরিষ্কার হয়েছে। ট্রাম্প তার বক্তব্যেও বলেছেন, ইসরাইল আমাদের একটি বন্ধু রাষ্ট্র। আমরা ইসরাইলের সঙ্গে আছি। ইসরাইলও আমাদের সঙ্গে আছে। এ থেকে সবাই বুঝতে পেরেছেন, ট্রাম্প কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? কিন্তু তিনি এটা ভাবেন নি, তার এমন সিদ্ধান্তের কারণে বড় ধরণের একটি সংঘাত হবে। এতে ইসরাইলের যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি ফিলিস্তিনেরও ক্ষতি হবে। এই কথাটি ভেবে ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
পরিচিতি : সাবেক কূটনীতিক
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ