পাবনার একই পরিবারের ৫ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুদিবস আজ
মিজান তানজিল,পাবনা: আজ ১২ ডিসেম্বর। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাবনার একই পরিবারের ৫ শহীদ ভাইয়ের মৃত্যু দিবস। একই পরিবারের ৫ জন শহীদ হলেও দীর্ঘ ৪৬ বছরেও নুন্যতম শহীদের স্বীকৃতি জোটেনি তাদের নামের আগে। এই দু:খ নিয়েই ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন শহীদ মাতা রোকেয়া খাতুন। এমনকি এই শহীদ পরিবারের সব সদস্য এখন চরম কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার টানে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে পাবনা শহরের সাধুপাড়া এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মোতাহার হোসেন মাস্টারের ৫ মেধাবী ছেলে ও এক জামাতা। এরা হলেন-ক্যাপ্টেন মোজাম্মেল হোসেন, মোশারোফ হোসেন রঞ্জু, মোস্তাক হোসেন অঞ্জু, মোকাররম হোসেন মুকুল, মনসুর হোসেন মঞ্জু ও তাদের ভগ্নিপতি ইউসুফ আলী। তাদের মধ্যে ১৯৭১ সালে ৮ ডিসেম্বর সন্মুখযুদ্ধে শহীদ হন মোশারোফ হোসেন রঞ্জু ও মোস্তাক হোসেন অঞ্জু। দুই ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ জানাতে এবং বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে অপর দুই ভাই মোকাররম হোসেন মুকুল ও মনসুর হোসেন মঞ্জু এবং ভগ্নিপতি ইউসুফ আলী তাদের ঢাকার মধুবাগের বাসায় আসেন। ঐ সময় পাক হানাদারদের দোসর রাজাকার আল বদর ও আল শামসের ক্যাডাররা তাদের আগমনের খবর পাক সেনাদের জানিয়ে দেয়। মুহুর্তেই পাক সেনারা ঐ বাড়ি ঘিরে তাদের তিনজনকে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে হত্যা করে বলে জানা যায়। তবে শহীদ ৫ জনের কোন লাশই পাওয়া যায়নি। ৫ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বোন মকবুলা মঞ্জুর শোভা বলেন, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই সবাই দেশপ্রেমিক হয়ে পড়ে। অনেকই এসে শান্তনা দেয়, নানা সহায়তার কথা বলে। পর দিনই সবাই তা ভূলে যায়। সারা বছর কেউ কোন খোঁজ পর্যন্ত রাখে না। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান