ডিপথেরিয়া আক্রান্ত ৫শ রোহিঙ্গা শিশু
শ.ম.গফুর, উখিয়া(কক্সবাজার) : কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে এইচআইভির পর নতুন করে শনাক্ত হয়েছে বিলুপ্ত ডিপথেরিয়া রোগ। এ পর্যন্ত ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪শর অধিক রোহিঙ্গা শিশু।এ পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সংক্রামক এই ব্যাধি থেকে রক্ষা করতে রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের মাঝে প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম। সিভিল সার্জন আরও জানান, ৪০৮ রোহিঙ্গা ডিপথেরিয়া রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের এমএসএফ হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংক্রামক ব্যাধি ডিপথেরিয়া আক্রান্তের হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে খুব দ্রুত অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির গলার পেছন দিকে সরু পর্দা তৈরি হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, পক্ষাঘাতসহ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজবাহ উদ্দিন বলেন, ডিপথেরিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া যে বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করে তা শ্বাসযন্ত্রের, বিশেষ করে নাক ও গলার টিস্যুকে নষ্ট করে দেয়। ডিপথেরিয়ার লক্ষণগুলো দেখা যায়, ইনফেকশন হওয়ার দুই থেকে সাত দিন পর। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার জ্বর থাকে।
ক্লান্তি ও শরীর ঠন্ডা হয়ে যায়। গলাব্যাথা হয়। গলার গ্রন্থি ফুলে যায়। ঢোক গিলতে সমস্যা ও ব্যথা হয়। অনেক বেশি কাশি হয়। শিশুরাই মূলত এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।এ রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমে অ্যান্টিটক্সিন ইনজেকশন দিয়ে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান