গাজায় ট্রাম্প, সৌদি বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সের ছবিতে আগুন
ওমর শাহ : জেরুজালেম ইস্যুতে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়েছে গাজার সাধারণ জনগণ। সৌদিকে মুনাফেক আখ্যা দিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অধিবাসীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সৌদি বাদশাহ সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের ছবিতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদ জানাতে স্থানীয় সময় রোববার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী পপুলার ফ্রন্ট গাজা শহরে এক বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলাসমৃদ্ধ শহর জেরুজালেমের প্রতি অবমাননার প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার গাজাবাসী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতিতে আগুন দেন। সেই সঙ্গে তারা সৌদি রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের ছবিতেও আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানান।
গাজা উপত্যকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে পপুলার ফ্রন্টের শীর্ষস্থানীয় নেতা জামিল মাজহার বলেন, ‘আল-কুদস হচ্ছে ফিলিস্তিনের চিরন্তন রাজধানী এবং এই নগরীর এক ইঞ্চি ভূমিও ইসরাইলকে দেয়া হবে না।’ জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী করায় মার্কিন ও ইহুদিবাদী প্রচেষ্টায় সৌদি আরবসহ আরও কিছু আরব দেশের মৌন সমর্থন থাকায় তীব্র নিন্দা জানান বিক্ষোভকারীরা। এসময় তাদের হাতে ‘সৌদি রাজতন্ত্র ধ্বংস হোক’ লেখা প্ল্যাকার্ড শোভা পায়।
ইসরায়েলের সাবেক স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াকোভ নাজেল গতমাসে বলেছেন, ‘তেল আবিবের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায় সৌদি আরব। এ কাজে রিয়াদ ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার পদদলিত করতেও প্রস্তুত রয়েছে।’
এর আগে ইসরায়েলের একটি টিভি চ্যানেল প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা দেওয়ার আগে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ, ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান, মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি ও আরব আমিরাতের বাদশার সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন। সূত্র : প্যালেস্টাইন টুডে, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ