গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের পথে বাংলাদেশ
তরিকুল ইসলাম : স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর চলতি বছরের ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়। দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ইতোমধ্যেই বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোতে কূটনীতিক তৎপরতা শুরু করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে গণহত্যার সংজ্ঞা মেনে জাতিসংঘে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও দলিল পাঠানো হচ্ছে।
এনিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতর ও জেনেভায় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ের সঙ্গেও ঢাকার আলোচনা চলছে। কূটনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করলে আন্তর্জাতিক গুরুত্ব পাবে। বিশ্বের আরো নির্যাতিত জনগোষ্ঠী একাত্ম হবে। এতে করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ অনেকটা সহজ হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থার সহযোগিতার কথা ভাবছে সরকার। জাতিসংঘের সদর দফতর এবং তাদের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছেন মন্ত্রণালয়। ইন্ট্যারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের সহযোগিতাও নিতে পারে ঢাকা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, মিশনগুলোতে গণহত্যাবিষয়ক তথ্য-উপাত্ত পাঠানো হয়েছে। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা এখনও চলছে। দূতাবাসগুলোতে পঠানো হয়েছে নির্দেশনা। কূটনীতিকরা সেখানে যখনই কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলবেন তখন যেন গণহত্যার বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন। দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে আমরা আশাবাদী। সম্পাদনা : সান্দ্রা নন্দিনী