ফরিদপুরের সাবেক এসপি সুভাষ চন্দ্র ও তার স্ত্রীকে দুদকে তলব
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এক মামলায় ফরিদপুরের সাবেক এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামীকাল বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে হাজির হতে সম্প্রতি নোটিশ দেওয়া হয় বলে দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ সই করা নোটিশে তাদেরকে তলব করা হয় জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, নোটিশে তাদেরকে স্থাবর-অস্থাবর মালিকানা সংক্রান্ত দলিলাদি, ব্যাংক হিসাবের শুরু থেকে হালনাগাদ বিবরণী, দায়-দেনা ও আয়ের উৎস সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সঙ্গে আনার জন্য বলা হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৪ অক্টোবর এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলা দায়েরের পর ওই দিনই তাকে ফরিদপুর থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় ফেরত পাঠায় পুলিশ সদর দপ্তর।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সুভাষ ও তার স্ত্রীর যৌথ নামে ওয়ান ব্যাংকের ৩টি শাখায় ১৯টি এফডিআরের মাধ্যমে ৮ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক। কিন্তু তাদের সর্বশেষ আয়কর বিবরণীতে ওই টাকার কোনো উল্লেখ নেই। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংক বংশাল শাখায় ৬টি এফডিআরে সুদসহ মোট ২ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার ৪৬৭ টাকা, এলিফ্যান্ট রোড শাখায় একটি এফডিআরে ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২ টাকা এবং যশোর শাখায় ১২টি এফডিআরে ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৮ টাকা রয়েছে ওই দম্পতির নামে।
এজাহারে আরও বলা হয়, এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা পুলিশ বিভাগে চাকরি করা অবস্থায় বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এই টাকা উপার্জন করেছেন। এই টাকার উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করেছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, ওই অর্থ অপরাধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্জিত জানা সত্ত্বেও এসপি নিজ ও স্ত্রী রীনা চৌধুরীর নামে ওয়ান ব্যাংকের ওই ৩ শাখায় এফডিআর হিসাবে জমা রেখে ভোগদখলে রেখেছেন।
আসামি রীনা চৌধুরী স্বামীর অর্থ অপরাধ কর্মকান্ড থেকে অর্জিত জেনেও যৌথনামে এফডিআর হিসাবে জমা রেখে এবং তা গোপন করে অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এই মামলা করা হয়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ