অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণের কাহিনী
কামরুল আহসান : গত জুন মাসের ঘটনা। পশ্চিম মিয়ানমারে এক নবদম্পতি তাদের ঘরে ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ তাদের ঘরে ৭জন সৈন্য ঢুকে যায়। নারীটি, একজন রোহিঙ্গা মুসলিম নারী, ধরা যাক তার নাম এফ, কী হতে যাচ্ছে বুঝতে পেরে প্রচ- আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। গতকালই খবর পেয়েছে তার পিতামাতাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এখন তারা তাকে শেষ করতে এসেছে। সৈন্যরা তার স্বামীকে দড়ি দিয়ে বাঁধে, মুখে তার ওড়না গুঁজে দেয়। তারপর তার গয়না ও কাপড়গুলো খুলে তাকে ফ্লোরে ছুঁড়ে মারে এবং প্রথম সৈন্যটি তাকে ধর্ষণ করতে শুরু করে।
সৈন্যদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এফ চেষ্টা কম করেননি, আপ্রাণ জোরাজুরি করেছেন, কিন্তু, চারজন সৈন্য তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখে, একজন তাকে লাঠি দেয় পেটায়, আর একজন একজন করে তাকে ধর্ষণ করে। তার স্বামী এক পর্যায়ে মুখের বাঁধন সরিয়ে চিৎকার করতে সমর্থ হয়, কিন্তু তৎক্ষনাৎ একজন সৈন্য তার বুকে গুলি করে, আরেকজন সৈন্য তার গলা কেটে ফেলে। মাত্র একমাস আগেই তাদের বিয়ে হয়েছিল। আর তারপর চোখের সামনে এফ দেখেছেন এমন বীভৎস দৃশ্য।
কে-এর বয়স ২৫, তার ৩ টি সন্তান, সবচেয়ে ছোটটির বয়স মাত্র ৬ মাস, তিনি ধর্ষিত হয়েছেন আগস্ট মাসের শেষে। তিনি এখন বাংলাদেশের শরনার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি তাদের বাধা দিতে চেষ্টা করেছিলেন আপ্রাণ, কিন্তু, চারজন তাকে জোর করে শুইয়ে দেয় এবং সমানে মারধোর করতে থাকে।
ধর্ষণের এই ঘটনা সম্প্রতি বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশে আশ্রিত থাকা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম নারীদের মুখ থেকে। তাদের কথা থেকে জানা যায় এসব ধর্ষণ ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং সাজানো। তাদের মনে আতংক ছড়িয়ে দিতেই এসব করা হয়। ধর্ষিত নারীদের বয়স ১৩-৩৫। মোট ২৯ জন নারীর সাক্ষাতকার নিয়েছে দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস। আল আরাবিয়া