স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে : ওয়ালিউর রহমান
গাজী খায়রুল আলম : স্বাধীনতার ৪৬ বছরে দেশের কতটুকু উন্নতি হয়েছে, আমরা নিজের চোখে দেখছি। তাই আমাদের জনগণকে এটা চিন্তা করতে হবে, দেশকে এগিয়ে নিতে এমন স্বাধীনতা পক্ষের শক্তিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে সব সময় রাখতে হবে। তাহলে আমার দেশ এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতার মূল চেতনা প্রতিষ্ঠিত হবে। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান এসব কথা বলেন।
ওয়ালিউর রহমান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিল ১৯৭২-৭৩ সালে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। আর এখন দেখেন এই বছর আমাদের দেশে বাজেট হয়েছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণের বাজেটটি এক মসয় আমাদের জন্য কল্পনা ছিল। এখন দেশ উন্নত হয়েছে। দেশের প্রয়োজনে বড় বড় বাজেট করতে হচ্ছে। আমরা যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, এই দেশের মানুষ আজ থেকে দশ বছর আগেও বিশ্বাস করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে, তার সততা, নিষ্ঠা, চেষ্টার কারণে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর লিডারশিপ মেনে চলছি বলেই আজ আমাদের উন্নত দেশ। আমাদের এখনই জিডিপি গ্রোথ ৭.২৮ পার্সেন্ট।
সাবেক এই কূটনীতিক আরও বলেন, আমাদের সব ক্ষেত্রেই আশপাশের দেশ থেকে আমরা এগিয়ে আছি। আমাদের প্রবৃদ্ধির গতিটা স্বাধীনতা প্রথম ২৮ বছরে যেটা অর্জন করেছিলাম, শেষ দশ বছরে তার চেয়ে বেশি অর্জন করেছি। কাজে এটার কারণ একটাই, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি একজন সৎ, কর্মঠ মানুষ। এটা এখন শুধু আমরা জানি না, এটা বিশ্বের সবাই জানে। ১৭৩টি দেশের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় সৎ সরকারপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। এটা খুবই গর্বের বিষয়, আমরা এমন একটি প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য যে ভবিষ্যৎ চিন্তা করছেন, এগুলো দেশকে একসময় উন্নতির শ্রেষ্ঠ শিখড়ে নিয়ে যাবে। পাকিস্তান থেকে আমাদের জিডিপি গ্রোথ বেশি। আমাদের এক্সপোর্ট-ইনপোর্ট পাকিস্তান থেকে বেশি। এমন কি আমাদের যে ব্যাংক রিজার্ভ এটাও পাকিস্তান থেকে বেশি। তাদের ব্যাংক রিজার্ভ হচ্ছে, ২২ বিলিয়ন ডলার আর আমাদের ৩৩ বিলিয়ন ডলার। এটাই প্রমাণ করে স্বাধীনতার ৪৬ বছরে বাংলাদেশ কতদূর এগিয়ে গেছি আমরা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশপ্রেম আছে বলেই আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি। তবে একটি দেশ যখন উন্নতির দিকে এগিয়ে যায় তখন কিছু ছোটখাটো সমস্যা থাকতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন মানুষ পদ্মা ব্রিজের দিকে তাকায়, যেখানে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় আমরা পদ্মা ব্রিজ করছি। এটার জন্য সারা পৃথিবী আমাদের দিকে তাকাচ্ছে। দেশকে ডিজিটাল করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। কিছুদিন আগে পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট সুফিয়াকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। দেশে আইটি পার্ক করা হয়েছে। এগুলো আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য। কর্মক্ষেত্র তৈরি করার জন্য। আমি আশা করি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ডিজিটাল হিসেবে বিস্ময় সৃষ্টি করবে। এই সবই আমাদের স্বাধীনতার প্রাপ্তি।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন