দুধের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক
জাফর আহমদ : দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ৫ শতাংশ সুদ হারে ঋণ বিতরণের জন্য ২শ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এ ঋণ বিতরণ করা হবে। মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এ টাকা বিতরণ করা সম্পন্ন হবে।
দেশে দুধের চাহিদার বড় অংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। একজন পূর্ণবয়সী মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দৈনিক দরকার প্রায় ২৫০ মিলিলিটার দুধের। সে হিসাবে ১৬ কোটি মানুষের একদিন প্রয়োজন ৪০ হাজার টন; বছরে প্রয়োজন প্রায় দেড় লাখ টন। বিপরীতে দেশে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৭৩ লাখ টন। বাকি দুধ আমদানি করে চাহিদা পূরণ করা হয়। আর এজন্য প্রতিবছর প্রায় হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে। দুধ আমদানির এই বিপুল পরিমাণ আমদানি ব্যয় কমাতে সরকার দেশে দুধ উৎপাদনে ৫ শতাংশ সুদ হারে ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছে। পল্লী অঞ্চলে বকনা বাছুর কেনার জন্য এ ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এই ঋণের আওতায় বকনা বাছুরকে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সংকর জাতের গাভী তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে একদিকে কর্মসংস্থান বাড়বে, দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে, সর্বোপরি দেশে দুধ আমদানি করতে যে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় হয়, তা সাশ্রয় হবে।
দুধের চাহিদার লক্ষ্যপূরণে ২শ কোটি টাকা বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি বাণিজ্যিক সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, ব্র্যাক, আইএফআইসি, মিডল্যান্ড, ন্যাশনাল, কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন, আনসার-ভিডিপি, কর্মসংস্থান ও আইডিএলসির মাধ্যমে এসব ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এ ঋণ বিতরণে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপজেলা অফিস ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করছে। চলতি ডিসেম্বর মাসে এ ঋণ বিতরণ করা সম্পন্ন হবে এবং লক্ষ্য বাস্তবায়ন হলে দেশে দুধ আমদানি কমে আসবে এবং পর্যায়ক্রমে এ হার শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ