বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক এ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তে প্রকল্প ব্যয় বাড়ছে
সাইদ রিপন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের এ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প প্রথম সংশোধনীর জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে। বন অধিদপ্তর থেকে প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্পের মূল ব্যয় থেকে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৩ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে অতিরিক্ত ১২ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য এ ব্যয় বাড়ানো প্রয়োজন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে সাফারী পার্কটি ঢাকাসহ বিদেশী পর্যটকদের জন্য ইকোট্যুরিজমের একটি অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে পরিচিতি হচ্ছে। এছাড়া দিনদিন পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবদিক বিবেচনা করে পার্কটি আকর্ষণ করে তোলার জন্য অধিকাংশ অবকাঠামোর উন্নয়নসহ নতুনভাবে অবকাঠামো নির্মাণ এবং হালনাগাদ মাস্টার প্লান তৈরি করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষিতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সাফারী পার্কের বাহিরের ও অভ্যন্তরীণ এলাকার যানজট কমাতে, পার্কের বন্যপ্রাণি এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের সুবিধাদি উন্নয়ন করার জন্য গত জানুয়ারীতে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটির সার্বিক দিক বিবেচনা করে অনুমোদনের পর এর মূল ডিপিপি সংশোধন করে ৭৮ কোটি টাকা করা হয়।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক সামসুল আজম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে অতিরিক্ত আরো ১২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকার অন্যান্য অবকাঠামোও উন্নয়ন করতে হবে। যা মূল ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু মালিকানা জমি ক্রয় করতে হবে তাই আমাদের বাজার মূল্যের থেকে তিনগুন বেশি মূল্য দিয়ে জমি ক্রয় করতে হয়। এজন্য সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে আমরা ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনীর জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রকল্পটি প্রথম অনুমোদনের পর এর আনুষাঙ্গিক কিছু খরচ হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি সূত্র জানিয়েছে, কোন কাজ ছাড়াই জুলাই ২০১৭ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এছাড়া জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত এর বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে শূণ্য দশমিক ২১ শতাংশ এবং প্রকল্পের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর অগ্রগতি হয়েছে শূণ্য দশমিক ১৮ শতাংশ। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হলো- ভবানীপুর বাজার থেকে সাফারী পার্ক ১ নম্বর গেইট পর্যন্ত ৪.৫ কি.মি. এ্যাপ্রোচ রোড, বাঘের বাজার থেকে ইন্দ্রপুর বাজার মোড় পর্যন্ত ৩.২ কি.মি. এ্যাপ্রোচ রোড এবং নুহাশ পল্লী ফরেস্ট ক্যাম্প থেকে বারতোপা ১৫ নম্বর গেইট পর্যন্ত ৭.৭ কি.মি. সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন