২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বাস্তবায়নে প্রশাসনিক সহায়তা নিশ্চিত করে বাবর-পিন্টু
মামুন আহম্মেদ খান : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বাস্তবায়নে প্রশাসনিক সহায়তা নিশ্চিত করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সোমবার ১৮তম দিনের যুক্তিতর্কে এ তথ্য উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের ১২ সাক্ষী মেজর (অব.) আতিকুর রহমান, নাহিদ লায়লা কাকন (জঙ্গি মাজেদ ভাটের স্ত্রী), মোসাদ্দেক, আতাহার আলী, লে.কর্নেল (অব:) গোলাম রাব্বানী, পুলিশ সার্জেন্ট মো. সেকান্দার আলী, সাবেক র্যাব কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন, আলমগীর কবীর চৌধুরী, উত্তম কুমার বিশ্বাস, ছাব্বির আহমেদ মাসুদ, র্যাবের তৎকালীন ডিজি মো. আবদুল আজিজ সরকার, এসআই গোলাম রহমানের জবানবন্দির আলোকে যুক্তিতর্ক পেশ করে। আর মেজর (অব:) সৈয়দ মুনিরুল ইসলামের জবানবন্দির ভিত্তিতে যুক্তি পেশ অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।
সাক্ষীদের জবানবন্দির আলোকে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হামলার আলামত নষ্ট, হতাহতের নির্মম ঘটনা এবং অপরাধীদের বাঁচাতে বিভিন্ন তৎপরতার চিত্র তুলে ধরে।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাসহ সারাদেশে পরিচালিত সব হামলায় গ্রেনেডসহ গোলাবারুদ সরবরাহ করে বিএনপি নেতা পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় র্যাবের ডিজি আব্দুল আজিজ সরকারের জবানবন্দির আলোকে রাষ্ট্রপক্ষে বলা হয়, জঙ্গি মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তারের খবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরকে জানানোর পর তিনি (বাবর) অসন্তোষ ও বিরক্ত হন। মুফতি হান্নান টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদে ২১ আগস্ট হামলার যাবতীয় পরিকল্পনা ষড়যন্ত্র এবং সিলেটসহ অন্যান্য গ্রেনেড হামলার বিষয়ে স্বীকার করে বিভিন্ন তথ্য দেয়। মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির বিষয়টি তৎকালীন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও এবিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সম্পাদনা : সান্দ্রা নন্দিনী