‘২০২০ সালের মধ্যে চালু হবে দুটি টার্মিনাল’
তরিকুল ইসলাম সুমন : দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের কাজ করার জন্য যৌথ কোম্পানি গঠন করছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি ‘জান ডি নুল’ একটি যৌথ কোম্পানি গঠনের জন্য গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জাহাঙ্গীর আলম এবং জান ডি নুল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান পিটার ডি নুল। চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পায়রা বন্দরের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৯টি কম্পোনেন্টের সবকটির উন্নয়ন কার্যক্রম একই সাথে গ্রহণ করা জরুরি। এ লক্ষ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ড্রেজিং কোম্পানির মাধ্যমে ড্রেজিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ি সম্প্রদায় এবং বিনিয়োগকারিদের মধ্যেও আস্থা তৈরি করবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ১১টি জাহাজ বহিঃনোঙ্গরে এসেছে। এতে সরকারের রাজস্ব এসেছে ১৮ কোটি টাকা; আর পায়রা বন্দর আয় করেছে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরে একটি কয়লা-বাল্ক টার্মিনাল ও একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চালু হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, ৩৬.৫ নটিকেল মাইল চ্যানেলের প্রথমপর্যায়ে টার্নিং বেসিনে ৯ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ১১ মিটার গভীরতায় ড্রেজিংএর জন্য প্রাক্কলিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩২.৪৩ মিলিয়ন ইউরো। সার্বিকভাবে চ্যানেলের প্রশস্ততা হবে টার্নিং বেসিনে ১২৫ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ৪শ মিটার। প্রথমপর্যায়ের ড্রেজিং শেষে ১১ মিটার গভীরতার জাহাজ বন্দরে আসতে পারবে। ভবিষ্যত ১২-১৪ মিটার গভীরতার জাহাজ মূল বন্দরে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হবে।
কোম্পানি গঠনের শেয়ার হবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫১ শতাংশ এবং বিদেশি কোম্পানি ৪৯ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর। প্রাক্কলিত ইক্যুইটি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৫৪.৩১ মিলিয়ন ইউরো, জে ডি এন ৫২.১৮ মিলিয়ন ইউরো।