পাকিস্তান সিনেটে জেরুজালেম নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত
ইমরুল শাহেদ : পাকিস্তান সিনেট অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন সোমবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি এবং তেলআবিব থেকে দূতাবাস স্থানান্তর করে জেরুজালেম নিয়ে আসার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। হাউজ অব সিনেটে নির্ধারিত আলোচনা বাতিল করে আলোচ্য ইস্যুতে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কে অংশ নেন ৩৩ জন সিনেট। এই বিতর্ক স্থায়ী হয় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। তারপরই ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হাউজের নেতা সিনেট রাজা জাফারুল হক বলেছেন ট্রাম্পের ঘোষণা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিশেষ করে ১৯৮০ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ৪৭৮ নং এবং ২০১৬ সালের ২৩৩৪ নং সিদ্ধান্তের বিপরীত এবং আন্তর্জাতিক আচরণেরও লঙ্ঘন। হাউজ অব সিনেটে বলা হয়, শান্তি প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার যে কোনো প্রচেষ্টাই হবে ইতিহাসের একটি নৈরাশ্যজনক ঘটনা।
অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাউজ থেকে ইসরায়েলিদের নিরপরাধ মানুষকে হত্যারও নিন্দা জানানো হয়। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে মার্কিন সিদ্ধান্ত আগ্রাসনেরই সমতুল্য এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা। হাউজ থেকে সামগ্রিকভাবে এবং জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের যেসব অংশ দখল করে রেখেছে তার উপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রত্যাখ্যান করা হয়। পাকিস্তান সিনেট স্বাধীনতার প্রশ্নে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। এ ইস্যুতে করণীয় নির্ধারণের জন্য পার্লামেন্ট ও সিনেটের যৌথ আলোচনা সভার আয়োজনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
হাউজ অব সিনেট থেকে মার্কিন পণ্য বর্জন এবং সাংসদদের যেসব মার্কিন ভিসা অনুমোদন করা হয়েছে সেগুলো ছিঁড়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাউজ নেতা রাজা জাফারুল হক মুসলিম বিশ্বের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে জেরুজালেমে যেসব সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে তার একটা কৌশল নির্ধারণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন