‘বিরোধিতা রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়’
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : সাবেক আইনমন্ত্রী ও আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট সঠিকভাবেই হয়েছে। এটা নিয়ে বিরোধিতা রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল থেকে যে সমালোচনা করা হচ্ছে তা একেবারেই অমূলক।
সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের অনুমতি নিয়েই এই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ব্যারিস্টার শফিক বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শের বিষয়ে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে। এই বিধিমালায় তারই প্রতিফলন সরকার কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে যে সব সমালোচনা আসছে, তা একেবারেই অর্থহীন। বিধিমালায় বলা আছে, রাষ্ট্রপতি যে পদক্ষেপই নেন না কেন, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমেই তা হবে। এখানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, কোনও অভিযোগ উত্থাপিত ও কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার হলে অনুসন্ধান বা বিচার বিভাগীয় তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন রাষ্ট্রপতি। কাউকে সাময়িক বরখাস্ত করা দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করবেন।
ব্যারিস্টার শফিক ১১৬ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করেছেন রাষ্ট্রপতি। এই বিধিমালা প্রণয়নের বিষয়ে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, বিচার বিভাগীয় কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের ও বিচার বিভাগীয় দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ, কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি দান, ছুটি মঞ্জুরিসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রদত্ত হবে। কাজেই অমূলক সমালোচনার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এ বিধিমালার ফলে নিম্ন আদালতের বিচারক বা বিচার সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিতদের শৃঙ্খলা ও তাদের প্রশাসনিক পদক্ষেপের ব্যাপারে এখন আর কোনও বাধা রইলো না।