বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ধরে রাখার জন্য কাজ করছে নতুন প্রজন্ম
প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম
১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস। আমরা প্রতিবছরই এই দিনটিকে গভীরভাবে স্মরণ করি। যে সকল মহান বুদ্ধিজীবী স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ কালে, আত্মত্যাগ করলেন বা তাদেরকে ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হল, সেটা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং জাতীয়ভাবে একটি বিশাল ক্ষতি। সেই ক্ষতিটি কোনোভাবে পূরণ হওয়ার নয়। আমাদের জ্ঞানী, গুণী, প-িত বা বুদ্ধিজীবী যারা ছিল, তারা জীবিত থাকলে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি ভালো অবদান রাখতে পারতেন। আমরা সেই ২৫ শে মার্চ কালো রাত থেকে ১৪ ডিসেম্বরের ষড়যন্ত্রে আমরা তাদের হারিয়েছি। একটি দুঃখজনক বিষয় হল, এই বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যার পিছনে আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী বা লোক নিয়োজিত ছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বা তাদের দোসররা এই হত্যার সাথে জড়িত ছিল। আমি যেখানে বসবাস করতাম, সেখান থেকে আমাদের প্রিয় শিক্ষকদের অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেই সময় বুদ্ধিজীবী হত্যার একটি তালিকা করা হয়েছিল। এখানে আরও বুদ্ধিজীবীর নাম ছিল। তারা সবার ঠিকানা বা যোগাযোগ তথ্য পায়নি বলে হত্যা করতে পারেনি। না হলে যে কেউ হোক হয়তো আজ সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকায় চলে আসতো।
বুদ্ধিজীবী হত্যাটি একটি জাতীয় ক্ষতি, তবে আমরা আশ্বস্ত হই এই ভেবে, আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতীয়তার চেতনায় এবং বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ধরে রাখার জন্য কাজ করছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে। এই প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পথ অনুসরণ করে চলছে। যারা শহীদ হয়েছেন, তারা সবাই ছিলেন উদার মনের, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক মানুষ। আমি আশা করি, এই প্রজন্মের সবাই এসকল বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ, মানসিকতাকে অনুসরণ করবে। তাদের অনুসরণ করলে আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাবে এবং সেই সকল বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
পরিচিতি : সাবেক চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদক : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ