উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করছে চীন, উদ্বিগ্ন দিল্লি
মাছুম বিল্লাহ: উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহী সংগঠনগুলোকে চীন সব ধরণের সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। মিয়ানমারের ঘাঁটি থেকে বিদ্রোহীরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যে তৎরতা চালাচ্ছে তাতে চীনের পরোক্ষ মদদ রয়েছে। এতে ভারত উদ্বিগ্ন বলে জানাগেছে। নাগাদের সঙ্গে ভারত সরকারের আলোচনার বিস্তারিত তথ্য পেতে চীনের গোয়ন্দা সংস্থা চেষ্টা করছে বলে নিশ্চিত খবর পেয়েছে ভারতীয় ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানাগেছে, নাগাল্যান্ডের চলমান শান্তি প্রক্রিয়ায় এনএসসিএন’র খাপলাং উপ-দল যাতে কোনভাবেই যোগদান না করে তা নিশ্চিত করতে চীন সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চীনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে বৈঠক সংখ্যাও বেড়ে গেছে বলে জানায় নিরাপত্তা সুত্র। দোকলাম সংকটের পর ভারত-চীন সম্পর্ক খুব একটা ভাল না হলেও বর্তমানে তা স্থিতিশীল রয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আন্ত:সীমান্তের তৎপরতা বন্ধ করতে ভারত ও চীন যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। কিন্তু এই টাস্কফোর্সের অধীনে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে চীন কোন আগ্রহ দেখায় না বলে নিরাপত্তা সূত্রগুলো উল্লেখ করে।
সূত্র জানায়, চীনের ইউনান অঞ্চলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিত্রোহী নেতাদের কার্যক্রম সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে দিল্লি। কিন্তু এখন পর্যন্ত চীন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। চীনের জিনগিয়াং প্রদেশে ক্রমবর্ধমান সমস্যা বিবেচনা করে চীন যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করতে রাজি হয়েছিল।
দালাই লামার আসাম সফরের প্রতিক্রিয়াতেই চীনা সংস্থাগুলো উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহীদের উত্সাহিত করছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা।
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার কথা থাকা সত্ত্বেও বিদ্রোহের ক্ষেত্রে চীনের এই অবস্থান তাদের নিজেদের জন্যেও হিতে বিপরীত হতে পারে উল্লেখ করে নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ভারত তাদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত।
নিরাপত্তা সূত্র জানায়, নাগা বিদ্রোহী সংগঠন এনএসসিএন (কে) শান্তি প্রক্রিয়ায় যোগদানের সিদ্ধান্ত নিলে মিয়ানমারভিত্তিক বেশিরভাগ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর টিকে থাকা কঠিন হবে।
চীন তা ভালভাবেই জানে। চীন বহুদিন ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নেতাদের ব্যবহার করছে এবং তাদের শীর্ষস্থানীয় বিদ্রোহী নেতাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে ভারতীয় নিরাপত্তা সূত্রগুলো অভিযোগ করে।