পেটে গজ রেখে সেলাই : ক্ষতিগ্রস্ত মাকসুদাকে ৯ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
এস এম নূর মোহাম্মদ : পটুয়াখালীতে সন্তান প্রসবের সময় করা অস্ত্রোপচারের সাড়ে ৩ মাস পর পেট থেকে গজ বের করার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মাকসুদা বেগমকে ৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে অস্ত্রোপচারকারী ভুয়া চিকিৎসক অর্জুন চক্রবর্তী ওরফে রাজন দাসকে ৫ লাখ টাকা এবং নিরাময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ৪ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে। আর টাকা পরিশোধ করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি তদারকির জন্য পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ বিষয়ে শুনানিকালে গতকাল বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। ভুল অস্ত্রোপচারের শিকার মাকসুদা বেগম হাইকোর্টে করা আবেদনে ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। তবে ওই আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি বা আদেশ হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এর আগে ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আত্মসমর্পণের পর ভুয়া চিকিৎসক অর্জুন চক্রবর্তী ওরফে রাজন দাসকে শাহবাগ থানায় সোপর্দের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার আগে ওই ডাক্তারের লাইসেন্স ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার পর ৬ নভেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন হাইকোর্ট। কিন্তু তার আইনজীবী কয়েক দফা সময় নিয়ে তাকে হাজির করতে পারেনি। এমনকি পুলিশও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে আদালতকে অবহিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
বিষয়টি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তা আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা। এ ঘটনায় ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন, বরিশাল শেরইবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ও পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে তলব করে রুল জারি করেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ।