হুঁশজ্ঞান ভাল, তবুও আশঙ্কামুক্ত নন প্রিয়ভাষিণী
রিকু আমির : ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তে রাখা মুক্তিযোদ্ধা ভাষ্কর প্রিয়ভাষিণীর হুঁশজ্ঞানেরর অবস্থা ভাল হলেও আশঙ্কা মুক্ত বলছে না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বিএসএমএমইউ’র পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, তার হুঁশজ্ঞানের মাত্রা ভাল, কৃত্রিম অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে না এবং কিডনির অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আশঙ্কামুক্ত নন।
এদিকে, বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে দেখতে আসেন। একইসঙ্গে বিএসএমএমইউতেই চিকিৎসাধীন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এড. মোহাম্মদ ছায়েদুল হককে দেখে যান।
গত ৬ নভেম্বর বাসায় বাথরুমে পা পিছলে আঘাত পান প্রিয়ভাষিণী। এতে তার বাম পায়ের গোড়ালির হাড় স্থানচ্যুত হয়ে পড়ে। এরপর ল্যাব এইডে চিকিৎসা নিতে গিয়ে আক্রান্ত হন হৃদরোগেও। হৃদপি-ে পেসমেকার পরানোর পর পায়ের চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেবার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু দেশাত্মবোধ থেকে তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিতে নারাজ ছিলেন। পরে সরকারি তত্ত্বাবধায়নে বিএসএমএমইউতে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
গত রোববার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, রক্তচাপ কমে যায়, কিডনির সদস্যা দেখা দেয় এবং হুঁশজ্ঞানের মাত্রা কমে যায়। ফলে তাকে গত সোমবার আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
পরিচালক (হাসপাতাল) জানান, প্রখ্যাত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী দীর্ঘদিন কিডনী, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েড রোগে ভুগছেন।
প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসায় গঠিত নয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডে আছেন- বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নকুল কুমার দত্ত, কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জীসহ কিডনি, অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যানেসথেশিওলজি, ইউরোলজি ও লিভার বিভাগের চিকিৎসকরা আছেন।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে গত ২৩ নভেম্বর বিএসএমএমইউর লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল-এর অধীনে ভর্তি করা হয়।