সৌদি অর্থনীতিতে ২৪ বিলিয়ন ডলার যোগ করবে ‘সিনেমা’
পরাগ মাঝি : গত শতকের ৩০-এর দশকে সৌদি আরবে বেশকিছু থিয়েটার হল নির্মাণ করেছিল আরামকো নামে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন একটি তেল কোম্পানি। ওই হলগুলো কোনো সৌদি নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। সৌদি আরবে অবস্থানরত পশ্চিমা নাগরিকরাই সংরক্ষিত ওইসব হলে সিনেমা দেখতো। পরবর্তীতে ধর্মীয় নেতাদের প্রভাবে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
‘রূপকল্প-২০৩০’ অনুযায়ী, দেশের তরুণদের বিনোদনের চাহিদা মাথায় রেখে আগামী বছর থেকেই রক্ষণশীল সৌদি আরবে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আওয়াদ বিন সালেহ আলাওয়াদ এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার মধ্য দিয়েই সৌদি অর্থনীতির জন্য একটি সম্ভাবনাময় দুয়ার খুলে গেছে। আশা করা হচ্ছে, দেশটির জিডিপিতে প্রায় ২৪ বিলিয়ন তথা ৯০ বিলিয়ন সৌদি রিয়েল যোগ করবে সিনেমা শিল্প।
সৌদি তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতে, সিনেমা শিল্পের সম্প্রসারণ হলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, যা সৌদি অর্থনীতিকে আরও বেগবান করে তুলবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সিনেমা শিল্পের মাধ্যমে দেশটিতে প্রায় ৩০ হাজার ফুলটাইম এবং ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের খ-কালীন চাকরির ব্যবস্থা হবে।
সৌদি অডিওভিজ্যুয়াল মিডিয়ার সাধারণ কমিশন চলচ্চিত্র তৈরির লাইসেন্স বা অনুমতি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। আগামী বছরের মার্চ মাসেই দেশের প্রথম সিনেমার উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে দেশটির জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির (জিইএ) চেয়ারম্যান আহমেদ আল খতিব সৌদি আরবে সিনেমা হল নির্মাণের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে সৌদি আরব বিশ্বমানের অপেরা হাউস নির্মাণ করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেওয়ায় আশার আলো দেখছেন সৌদি আরবের চলচিত্র নির্মাতা ও ব্যবসায়ীরা। এমন ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে বিশ্বের নামকরা কয়েকটি চলচ্চিত্র সংস্থার কর্মকর্তারাও। ব্লুমবার্গ, আল-আরাবিয়া