হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন এডিসি-ইউএনও
এস এম নূর মোহাম্মদ : লক্ষ্মীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদ- দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। গতকাল বুধবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থণা করেন। আদালতে এসময় উপস্থিত ছিলেন সেই সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনও।
গতকাল শুনানির সময় আদালত বলেন, আইনের যথাযথ অনুসরণ না করে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ক্ষমতার অপব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মোবাইল কোর্ট রাষ্ট্রীয়-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অতীব প্রয়োজনীয়। কিন্তু অপব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক সময় দেখা যায়, সরকারি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে না গিয়েই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এর মাধ্যমে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে চান। এটা চলবে না।
শুনানিকালে এডিসি, ইউএনও ও সাবেক সিভিল সার্জনকে ভৎর্সনা করেন আদালত। আদালত বলেন, আপনারা সমাজের সম্মানিত মানুষ। আপনারা হাতাহাতি করবেন- এটা সভ্য সমাজের কেউ করতে পারে না। এটা লজ্জার ব্যাপার। এরপর আদালত শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে ভবিষ্যতে এমন কোনো পদ না দিতে বলেন, যাতে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে পারে।
এর আগে ওই কারাদ-ের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী ও আশফাকুর রহমান। ওই সময় শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ এডিসি ও ইউএনওকে আদালতে তলব করেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ