জয়ের তথ্য ভয়ঙ্কর নীল নকশা : রিজভী
কিরণ সেখ : আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেওয়া তথ্যকে ষড়যন্ত্র ও ভয়ঙ্কর নীল নকশার অংশ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, জয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে যা বলেছেন, সেটি একটি ‘টপ ডেমোক্রেটিক কান্ট্রিতে’ বসবাসকারী ব্যক্তির ওপর সেদেশের সংস্কৃতির যে প্রতিফলন ঘটে, সেটি না হয়ে বরং টুঙ্গিপাড়ার সংস্কৃতির প্রতিফলনই ফুটে ওঠেছে।
সম্প্রতি সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভের ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা আরও বলেছেন, তিনি মেশিন দিয়ে জরিপ চালিয়েছেন। তিনি জনগণের মধ্যে জরিপ চালাননি। তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা যে মেশিনের কথা বলছেন সেটি ‘আওয়ামী মেশিন’। সেই মেশিনের জরিপে জনগণের প্রকৃত মনোভাব ফুটে ওঠে না। সেই মেশিনে শুধু আওয়ামী মনোভাবই ফুটে ওঠে। তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টার সেই মেশিন বাকশালী যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি।
অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই বিধিমালায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। মাসদার হোসেন মামলায় বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তার পরিপন্থী। এমনকি সংবিধানেরও পরিপন্থী। এই শৃঙ্খলাবিধি সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে- বলে মনে করেন রিজভী। শৃঙ্খলাবিধির মাধ্যমে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণের মৃত্যু ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ছাত্রলীগ স্কুলপর্যায়ে কমিটি ঘোষণা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ঘোষণার পর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে হানাহানি ছড়িয়ে পড়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সুস্থ জীবনযাপনে যাতে উদ্বুদ্ধ হতে না পারে সেজন্যই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে এখন মাধ্যমিক পর্যায়েও ছাত্রলীগের কমিটির নামে দলীয় সন্ত্রাসী দল তৈরি করছে। এটি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার মাধ্যমে গোটা জাতিকে পঙ্গু করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু