বাবার মৃত্যুর পর বদলে যায় আকায়েদ
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : নিউইয়র্কে আকায়েদ উল্লাহর বাবা সানাউল্লাহ মিয়ার মৃত্যুর পর থেকেই বদলে যায় সে। ধর্মের প্রতি অতিরিক্ত অনুরাগ দেখা যেতে থাকে। পরিবারের সদস্যদের নামাজ পড়ার তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি সালাফি রীতিনীতি অনুসরণের জন্য চাপ দিতে শুরু করে সে।
ঢাকার হাজারীবাগে বেড়ে ওঠা আকায়েদ নিউ ইয়র্কে যাওয়ার পর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে। অন্যদেরও নামাজ পড়তে তাগিদ দিতে শুরু করে। তবে পরিবারের সদস্যরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি নম্র ও ভদ্র আকায়েদ কোনো একদিন ধর্মান্ধদের মতো ‘আত্মঘাতী’ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করবে।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ বলছে, শরীরের সঙ্গে পাইপ বোমা বেঁধে আত্মঘাতী হামলা করতে গিয়ে আহত হয় আকায়েদ। ওই বিস্ফোরণে অন্তত তিন জন আহত হন। তবে সন্দেহভাজন আকায়েদসহ সবাই আশঙ্কামুক্ত। আর্ন্তজাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের অনুপ্রেরণায় আকায়েদ এই হামলা চালায় বলেও জানানো হয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশের পক্ষ থেকে।
নিউ ইয়র্কে বিস্ফোরণের পর সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়ার পর আকায়েদের বিষয়ে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তার বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করে।
২০১১ সালে দেশ ছাড়ার পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে পারিবারিকভাবে ছোট বোন হেলেনের বান্ধবী জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁইকে বিয়ে করে সে। এরপর দুবার দেশে এসেছিল আকায়েদ, সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর দেশে এসে ২২ অক্টোবর আবার ফিরে যায়। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে এসে চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিউ ইয়র্কে ফেরে সে।
আকায়েদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য মঙ্গলবার বিকালে তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই, শ্বশুর জুলফিকার হায়দার ও শাশুড়ি মাহফুজা আক্তারকে নিজেদের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যে আকায়েদ সম্পর্কে এসব তথ্য জানা গেছে বলে জানান সিটিটিসি কর্মকর্তারা। সম্পাদনা : ইকবাল খান