আমৃত্যু কারাবাস হতে পারে আকায়েদের
প্রিয়াংকা পান্ডে : নিউইয়র্কে ব্যস্ততম বাস টার্মিনালে ‘আত্মঘাতি বোমা হামলার’ ঘটনায় বাংলাদেশি অভিবাসি আকায়েদ উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে মার্কিন ফেডারেল আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমৃত্যু কারাবাস হতে পারে বাংলাদেশি আকায়েদের। মঙ্গলবার আকায়েদের বিরুদ্ধে ৩টি অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ধরেই নেওয়া হয়েছে যে, এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। রয়টার্স
আকায়েদ তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান সংগঠক মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীর বই পড়ার পরামর্শ দিতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অন্য অভিযোগগুলো হলো- আন্তর্জাতিক জঙ্গিসংস্থার সঙ্গে যোগসাজশ, জনসমাগমে বোমা বহন এবং বিস্ফোরকের সাহায্যে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি।
আকায়েদ (২৭) সপরিবারে গ্রীন কার্ড নিয়ে বিগত ৭ বছর ধরে নিউ ইয়র্কে বসবাস করছিলো। গতবছর সে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে। সন্দিপের মুছাপুরে ৭ মাসের এক সন্তান ও তার স্ত্রী বসবাস করে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে স্ত্রী-সন্তান ও নানিকে দেখতে দেশে এসেছিলো আকায়েদ।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরুর পর ২০১২-২০১৫ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স নিয়ে ট্যাক্সি চালিয়েছে আকায়েদ। প্রতিবেশিদের মতে, আকায়েদ ও তার পরিবারের মধ্যে অস্বাভাবিক কোন কিছু তারা দেখেনি।
মার্কিন পুলিশ জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ইন্টারনেটে বিভিন্ন জঙ্গি কর্মকা- ও বোমা বানানো শিখে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল আকায়েদ। আদালতের অভিযোগপত্র মতে, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আকায়েদ তার কর্মকান্ডটি আইএসের জন্য বলে স্বীকার করেছে।
সোমবার, ওই হামলা ঘটানোর পূর্বে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উল্লেখ করে আকায়েদ একটি পোস্ট করেছিলো। পোস্টে সে বলে, ‘ট্রাম্প তুমি তোমার দেশকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছো।’ এমনকি আকায়েদের পাসপোর্টে হাতে লেখা একটি বাক্য ছিলো- ‘ওহ আমেরিকা ! নিজেই নিজের ক্রোধে শেষ হও’।
আকায়েদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়েরের সময় মার্কিন অ্যাটর্নি জুন কিম বলেন, ‘মানুষ হত্যাই উদ্দেশ্য ছিলো আকায়েদের।’ যদিও আকায়েদের ব্যবহৃত পাইপ বোমা বেশি শক্তিশালি না হওয়ায় কোন প্রাণহানি ঘটেনি। ঘটনায় আকায়েদ ছাড়া আহত হয় আরো ৩ জন।