সাম্প্রদায়িক শক্তি এখনো তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে : ডা. নুজহাত
খন্দকার আলমগীর হোসাইন : আমাদের উদ্দেশ্যটা কী ছিল, সেটা মনে রাখতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন ৭ ই মার্চের ভাষণে তিনি কিন্তু প্রথমে বলেছেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেটা অর্জিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক বাংলাদেশের উত্থান হয়েছে। আমরা পতাকা ও দেশ পেয়েছি। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে ড. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী এই সব কথা বলেন।
ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, গর্ব করার মতো অনেক কিছু আছে আমাদের। কিন্তু সংগ্রাম যদি আমরা চিন্তা করি, বিশেষ করে অর্থনৈতিক মুক্তি। তারপর সমতা অর্জন করা, একটা সাম্যবাদী সমাজ। যেখানে শোষণ থাকবে না, শোষিত শাষিত থাকবে না, যেখানে নির্যাতন থাকবে না, এগুলো যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে আমার মনে হয় এখনো আমাদের অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে।
আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি অবশ্যই হয়েছে, এই সরকারের আমলে আমি কিন্তু খুব গর্বিত, বিশেষ করে যেভাবে আমরা মাথা উঁচু করে সাম্রাজ্যবাদী পাশ্চাত্যেকে উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু করছি। সেগুলো নিয়ে আমি গর্বিত কিন্তু নিশ্চিতভাবে আমাদের অনেক দূর পথ পাড়ি দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের রাজাকার মুক্ত প্রগতিশীল একটি সমাজ গঠনের কথা যদি চিন্তা করি, তাইলে কিন্তু আমরা অনেক পেছনে আছি। আমরা দেখতে পাই, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ভেঙে পাকিস্তান তৈরি হয়েছিল এবং যেই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের ছোবলে ৭১ হয়েছিল। সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি কিন্তু এখনো মাথা উঁচু করে এখনো আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। আমাদের সেই দিকে অনেক কাজ বাকি আছে। আমার মনে হয়, সেইগুলো পরিপূর্ণভাবে না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির সংগ্রাম আমাদের শেষ হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি একটি প্রগতিশীল অসাম্পদায়িক সোনার বাংলা যেদিন গড়তে পারব, যেখানে দেশ বিরোধী রাজাকার শক্তি থাকবে না, সাম্প্রদায়িক শক্তি থাকবে না, এখানে শোষত শোষিত বিভাজন থাকবে না, যেখানে সবাই একটা মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিটি মানুষ পাবে। যেখানে পথশিশু থাকবে না, যেখানে দারিদ্র থাকবে না, সেরকম একটি সমাজ গঠন করতে পারলেই আমাদের কাক্সিক্ষত সোনার বাংলা পাবো। আমাদের মুক্তির সংগ্রামের আসলে আরও অনেক মুক্তির বাকি আছে। তবে নিশ্চিতভাবে যে রাজনৈতিক উত্থান আমাদের হয়েছে তা গর্ব করার মতো। আমি মনে করি, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক পথেই এগোচ্ছেন এবং কাক্সিক্ষত লক্ষে পৌঁছানোর জন্য তিনি দিনরাত অমানবিক পরিশ্রম করছেন।