পুলিশের হাতে ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশনা
ইসমাঈল হোসেন ইমু : কবি-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে আদালতের নির্দেশনা এখন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। তদন্ত সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আদালত গত বৃহস্পতিবার নির্দেশনা দিলেও এ সংক্রান্ত লিখিত আদেশ মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে পৌঁছে। প্রায় ৩ মাস তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। একইসঙ্গে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ও হয়রানির অভিযোগ এনে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের কাছে দ-বিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চান। তবে আদালতে দেওয়া পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) প্রত্যাখ্যান করে মামলার বাদী ও ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার আদালতে নারাজি দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে ফরিদা আখতার আদালতের কাছে মামলাটি নতুন করে তদন্তেরও দাবি জানান। তবে আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে ওই আবেদন খারিজ করে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শ্যামলীর রিং রোডের ১নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। ঘটনার দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফরহাদ মজহার নিজেই স্ত্রীর কাছে মোট ৬ দফা ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ ৩৫ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে জানান।
এদিকে ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ