‘আকায়েদের স্বজনের যোগসাজশের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে’
তরিকুল ইসলাম সুমন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের বাস টার্মিনালে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার সন্দেহে আটক বাংলাদেশি আকায়েদ উল্লাহর আত্মীয়-স্বজনের কোনো যোগসাজশ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আকায়েদ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
গতকাল সচিবালয়ে আসন্ন বড় দিন উদযাপন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আয়োজিত সভা শেষে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ইউএসএ-তে। যে যুবকটি ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে এখন শনাক্ত হচ্ছেন ইউএসএ-তে তিনি কিন্তু ইউএসএ’র অধিবাসী ছিল, বাংলাদেশের অধিবাসী নয়। ২০১১ সাল থেকে তিনি ওখানেই অবস্থান করছেন। আমাদের দেশে তার যে নিকটাত্মীয় তার স্ত্রী, মা ও শাশুড়ি আছেন তাদের প্রতি আমরা লক্ষ্য রাখছি, তাদের এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনে ‘থার্টিফার্স্ট নাইটে’ রাজধানী ঢাকায় সব বার বন্ধ থাকবে। রাতে উন্মুক্ত স্থানে কোনো সমাবেশ করা যাবে না। পরের দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত কোনো লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রও কেউ বহন বা প্রদর্শন করতে পারবেন না। থার্টিফার্স্ট নাইটের কর্মসূচি পালন ও আসন্ন বড়দিন উদযানের সময় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো সমাবেশ করা যাবে না। তবে ইনডোরে হোটেল বা যার যার বাসাবাড়িতে অনুষ্ঠান করতে চান তারা করবেন। সেখানে যদি নিরাপত্তার প্রায়োজন হয় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে নিরাপত্তা দেবে। থার্টিফার্স্ট নাইটে গুলশান, বনানী, বারিধারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। বহিরাগত প্রবেশ আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখব।
এছাড়াও আসন্ন বড়দিন উদযাপনের নিরাপত্তার কথা জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঢাকা শহরে ৭৫ টিসহ সারা দেশের চার্চগুলোতে বড়দিন উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। রাজধানীতে ৫ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে নিয়োজিত রাখা হবে। যাতে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করতে পারেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু বুদ্ধিজীবী নয়, বঙ্গবন্ধুসহ সব হত্যাকা-ে জড়িত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় বাস্তবায়ন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তাদের তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : ইসমাঈল হুসাইন ইমু