চুরির অপরাধে হাত কাটার বিধান
মুফতি আবদুল্লাহ তামিম : ইসলাম আল্লাহর মনোনীত পূর্ণাঙ্গ একটি ধর্ম। মহান আল্লাহই ভালো জানেন পৃথিবীর ভারসাম্যতা কিভাবে বজায় থাকবে। তাই তিনি নির্ধারণ করে দিয়েছেন পৃথিবীর সমস্ত বিধি-বিধান।
মহান আল্লাহ বলেন : যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের ফল ও আল্লাহর পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। অতঃপর স্বীয় সীমা লঙ্ঘনের পর যে তওবা করে এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। অবশ্যই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু (সূরা মায়িদাহ-৩৮, ৩৯)
আহমদ ইবন মুহাম্মদ (রা) আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা.) দীনারের ১/৪ অংশ বা এর অধিক মূল্যের জিনিস চুরি করলে হাত কাটার নির্দেশ দিতেন। দীনার বলা হয় স্বর্ণমুদ্রাকে এবং দিরহাম রৌপ্য মুদ্রাকে। তৎকালে ১২ দিরহাম সমান ছিল এক দিনার। সে হিসাবে ৩ দিরহাম অথাৎ ১/৪ দীনার মূল্যের মাল চুরি করার কারণে নবী করীম (সা.) চোরের হাত কাটার নির্দেশ দেন। বর্তমান বিশ্বের মুদ্রামানের দৃষ্টিতে, দীনারের মূল্য স্থির করে এর ভিত্তিতে শরিয়তের বিধান অনুযায়ী হাত কাটা যাবে যদি দেশে ইসলামি আইন চালু থাকে। সংবিধান যদি কুরআন হয়। ইবন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) ৩ দিরহাম মূল্যের ঢাল চুরি করার কারণে এক ব্যক্তির হাত কাটার নির্দেশ দেন। (আবু দাউদ-৪৩৩২) সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন