কেমন সিনেমা দেখতে চান সৌদিরা
রাশিদ রিয়াজ : সৌদি আরবে ৩৫ বছর পর সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার পর সৌদি নাগরিকরা টুইটারে সম্ভাব্য অনেক নাম ও ধারণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমার এসব নামে সৌদিদের সিনেমা-রুচি সম্পর্কে অনেক রসিকতা ও কৌতুকের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। মিডল ইস্ট আই
এসব প্রস্তাবিত সিনেমার নামে আরব শেখদের রাজনীতি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের গোপন সম্পর্ক নিয়ে তির্যক দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে। কাতারের ওপর অবরোধের বিষয়টিও বাদ যায়নি। যেখানে বাক-স্বাধীনতার তীব্র অভাব রয়েছে, সেখানে ধর্মীয় এ রাজ্যের বিধিনিষেধ নিয়ে উপহাস করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমার নাম প্রকাশ করছেন অনেকে।
প্রস্তাবিত কয়েকটি সিনেমার নাম হচ্ছে, ‘ফাস্টিং এন্ড ফিউরিয়াস’, ‘রিটার্ন অব দি জেদ্দা’, ‘হোয়েন হারিরি মেট সালাফি’, ‘দ্য এমন ডে আফটার বিন নায়েফ’, ‘দ্য কাতার গেমস’, ‘দ্য ফোরটি ইয়ার-ওল্ড ভার্জিন’, ‘হেয়ারি পটার’, ‘সিøপিং উইথ ইসরায়েল’, ‘সুন্নি ওয়ারস : দি লাস্ট সুফি’, ‘শিরক-৩’, ‘দ্য আমেজিং সালাফি-ম্যান’, ‘দ্য ওলফ অব রিয়াদ’ ও ‘দ্য ক্রনিক্যালস অব সালমান’।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ সৌদি সিনেমাহলে সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা। তবে পশ্চিমা ধাঁচ বা সংস্কৃতির সিনেমা সৌদি সিনেমা হলগুলোতে চলবে কি না, সে সম্পর্কে এখনো কিছু বলা হয়নি।
এছাড়া, বিশ্বনন্দিত ইরানি চলচ্চিত্র সৌদি আরবে প্রদর্শিত হবে কি না সে ব্যাপারেও কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। সম্পাদনা : সান্দ্রা নন্দিনী