হারবাল শিল্পকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
মোরশেদ মুকুল : দেশীয় উপকরণ ব্যবহার করে আমদানি বিকল্প শিল্প স্থাপনে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড আয়োজিত নিরাপদ স্বাস্থ্য বিষয়ক ৩ দিনব্যাপী ‘হেলথ এন্ড ফিটনেস-২০১৭’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আমির হোসেন আমু বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬’তে হারবাল ওষুধ ও পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পকে অগ্রাধিকার শিল্পখাতের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশে ভেষজ ওষুধ ও পণ্য উৎপাদনের ৪ শতাধিক শিল্প-কারখানাও গড়ে ওঠেছে। যা থেকে প্রতিবছর ৩শ’ ৩০ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। আর এসব পণ্য যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী ভেষজ পণ্য ও ওষুধের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে ৭১.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হারবাল পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও এ চাহিদায় ভাটা পড়েনি। বিশ্বব্যাংকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
বাংলাদেশের প্রায় ৫০০ প্রজাতির ঔষধি উদ্ভিদ চাষ হয় উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে এ ধরনের উদ্ভিদভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলারও তাগিদ দেন। আর কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে বর্তমান সরকার পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনার নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে এ শিল্পখাতে কর রেয়াতসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
৩ দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে চীন, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, কোরিয়া ও বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। প্রদর্শিত হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি স্টলে শরীর চর্চার আধুনিক উপকরণ ও হারবাল পণ্যসামগ্রী।