জিজ্ঞাসার জবাব
প্রশ্ন : স্পঞ্জ ইত্যাদির গদির উপর সিজদা করা যাবে কী ?
উত্তর : সেজদা করার ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো, যেখানে কপাল ও নাক স্থাপন করা যায়। আর যদি তা নরম ও গলিত স্থান হয় তাহলে কপাল রাখার পর চাপ ও শক্ততা অনুভব করতে হবে। এ নীতির উপর তুলা ও স্পঞ্জের গদির হুকুমের ভিত্তি। যদি গদি এমন নরম ও মোটা হয় যে, কপাল ঠেকে না, যেমনটি স্পঞ্জের মোটা গদিতে হয়ে থাকে, তাহলে এর উপর সিজদা করা যাবে না। আর যদি কপাল ও নাক ঠেকে যায় এবং কিছুটা শক্ত অনুভূত হয় তাহলে তার উপর সিজদা করা বৈধ হবে।
প্রশ্ন : ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহনের দেয়ালে তায়াম্মুম শুদ্ধ হবে কী ?
উত্তর : ট্রেন ,বাস বা এই জাতীয় দেয়ালগুলো সাধারণত কাঠ, লোহা. প্লাষ্টিকের হয়ে থাকে। এগুলোর উপর তায়াম্মুম করা ঠিক নয়। অবশ্য ভ্রমণের কারণে যদি এগুলো ধূলা বালি জমে যায় তাহলে তার উপর তায়াম্মুম করা যাবে।
প্রশ্ন : সিজদার আয়াত লিখলে বা টাইপ করলে কী তেলাওয়াতে সিজদাহ করতে হবে ?
উত্তর : কুরআনের যেসব আয়াত তেলাওয়াত করলে সিজদাহ করা আবশ্যক হয় সেখানে নিয়ম হলো, দুই ব্যাক্তির উপর সিজদা আবশ্যক হয়। প্রথমত যিনি তেলাওয়াত করবেন দ্বিতীয়ত শ্রবণকারী। অতএব যদি সেজদার আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয় বা টাইপ ও কম্পোজ করা হয় কিন্তু মুখে উচ্চারণ করা না হয় অথবা এক একটি হরফ উচ্চারণ করা তাহলে তেলাওয়াতের সিজদাহ ওয়াজীব হবে না।
প্রশ্ন : সমুদ্রে কেউ মারা গেলে কীভাবে দাফন করতে হবে ?
উত্তর : যদি সামুদ্রিক ভ্রমণকালে কারো ইন্তেকাল হয়ে যায়, আর তীরে পৌঁছা পর্যন্ত মৃতদেহ পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে এমন ব্যক্তির জানাযা নামায পড়ে কোন ভারি বস্তু বেঁধে সমুদ্রে ফেলে দিবে। সমুদ্রই তবে তার কবর। তার হেফাযতের মালিক একমাত্র আল্লাহই।