অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও সশস্ত্র মন্ত্রণালয় পেলো উগ্রপন্থীরা
পরাগ মাঝি : অস্ট্রিয়ার রক্ষণশীল পিপলস পার্টি উগ্র ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে জোট করার ফলে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রিয়ায় ক্ষমতায় এলো উগ্র ডানপন্থী দল। শুধু তাই নয় অস্ট্রিয়ার নবগঠিত মন্ত্রীসভায় স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও সশস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ন তিনটি মন্ত্রণালয় পেয়েছে দলটি। এর মধ্য দিয়ে অস্ট্রিয়ার শাসন ব্যবস্থায় পাকাপোক্তভাবে আসন গেড়ে নিয়েছে উগ্রপন্থীরা।
গত সেপ্টেম্বরে অস্ট্রিয়ার ক্ষমতাসীন সামাজিক গণতান্ত্রিক দল এসপিও এবং মধ্য রক্ষণশীল অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টির জোট সরকার ভেঙে যায়। আর এ কারণেই এক বছর মেয়াদ থাকতেই নতুন করে অস্ট্রিয়ার সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। গত অক্টোবরের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে পিপলস পার্টি সবচেয়ে বেশি ভোট পায়। কিন্তু তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। দুই মাস আলোচনার পর উগ্র ডানপন্থীদের সঙ্গে সরকার গঠনের সমঝোতা হয় পিপলস পার্টির।
ইউরোপের তরুণতম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কুর্জ শপথ গ্রহণ করেছিলেন মাত্র ২৭ বছর বয়সে। চার বছর পর সেই উগ্র কুর্জ বিশ্বের কনিষ্ঠতম সরকারপ্রধান হওয়ার পথে। পিপলস পার্টির এই নেতাও ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি ইউরোপে অভিবাসনের বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং অভিবাসনের পথ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ভ্যান দার জানান, নতুন জোটের দুই শরিকই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ইউরোপীয় মানবাধিকার সনদ অনুসরণের প্রতি ইতিবাচক মনোভব প্রকাশ করেছে। বিবিসি