আমরা শান্তি প্রিয়
আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমরা শান্তি প্রিয়। আমাদের অতীত ও বর্তমান সব সময় শান্তির স্বপক্ষে। ঐতিহাসিকভাবে বাঙালি উগ্রবাদের শিক্ষা নেয়নি, দীক্ষা নেয়নি। চীরকাল শ্মাশ্বত বাংলাদেশ এর ইতিহাস, ঐতিহ্য আমরা লালন করি, ধারণ করি। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সঙ্গতি মিলায়ে হয়তো আমাদের দেশের একটা প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটেছে। উন্নয়নের ফলশ্রুতিতে হয়তো আধুনিক মনষ্ক মানুষের এক নতুন চেতনার উদ্ভব হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষালয়ে বাঙালির শ্মাশ্বত বাংলা ভাষাকে যদি আমরা চর্চা করি। আমরা আমাদের অতীত ইতিহাসে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করি। আমরা অবশ্যই বাংলাদেশের যুবকেরা উগ্রবাদে জড়াবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের জীবনের যেটা বাস্তবতা সেই বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যে, এই বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবে আমরা উগ্রবাদে জড়াইনি। আমরা সব সময় শান্তি প্রিয়। শান্তির ললিত বাণী আমাদের চিরন্তন বাণী। আমরা সব ধর্মের সাথে একাত্ম হয়ে আমরা এই ভূখ-কে দেখেছি। হতাশার কারণে এই ধরনের মানসিকতা আসতে পারে। আমাদের সন্তানদের মাঝে যদি আমরা অতীত ইতিহাস লালন করি তাহলে তাদের মধ্যে এই উগ্র চেতনাবাদ স্থান পাবে না। এই ধরনের উগ্রবাদীতায় আমাদের কোমলমতি ছাত্রছাত্রছাত্রীরা জড়াবে না। আমাদের অতীত ইতিহাস সে কথা বলে না। আমরা উগ্রবাদীতায় জড়াইনি বলেই এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, তরুষ সমাজ কখনোই বিভ্রান্ত হবে না।
পরিচিতি : সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন