ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
জাফর আহমদ : ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ব্যাংকটির নতুন পরিচালনা পর্ষদ। ঋণ বিতরণের বাইরে আরও কোনো অনিয়ম আছে কিনা তা দেখার জন্য অভ্যান্তরীন নিরীক্ষা করবে বাণিজ্যিক এই ব্যাংকটি। গতকাল সেগুনবাগিচায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ এ কথা বলেন।
নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকের তারল্য ঘাটতি কাটাতে ইতোমধ্যে ১৭ কোটি টাকা জমা রাখা হয়েছে। জানুয়ারি মাসে আরও অর্থ আমানত হিসাব রাখা হবে। এছাড়া ব- ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ ও পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হবে। কোনো ভাবেই গ্রাহক স্বার্থহানি করা হবে না। তিনি বলেন, সাবেক পরিচালনা পর্ষদের কিছু প্রভাবশালী সদস্য অনিয়ম করে ঋণ বিতরণ করেছে। তাদের বিশ্বাস করে পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য পরিচালকরা ব্যাংকিং কার্যক্রমের ভেতরে প্রবেশ করেনি, হস্তক্ষেপ করেনি। এ সুযোগে প্রয়োজনীয় জামানত না নিয়ে ঋণ বিতরণ করেছিল। এসব ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় জামানত সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব ঋণ খেলাপি বা মন্দ ঋণে পরিণত হয়েছে সেসব ঋণ আদায়ের জন্য ব্যক্তিগতভাবে পরিচালকরা উদ্যোগ নিয়েছে।
ব্যাংকটির পরিচালক আজমত রহমান জানান, ব্রাঞ্চ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি ভাড়াতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্রাঞ্চ খোলা হয়েছিল। এতে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব ব্রাঞ্চ বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে তুলনামূলক কম ভাড়ার বাড়িতে স্থানান্তর করা হবে। কোনো বাড়িওয়ালা বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে বাড়ি ব্যাংককে পুনঃভাড়া দিতে চাইলে পুরাতন স্থানেই ব্যাংক রাখা হবে। কম ভাড়াতে রাজি না হলে পাশেই অন্য বাড়িতে স্থানান্তর করা হবে। এতে ব্যাংকের খরচ কমবে।
ব্যাংকের গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় পরিচালনা পর্ষদ থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা আনা হয়েছে বলে জানান ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ। তিনি বলেন, এখন আর কোনো পরিচালক এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়নি। যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। ব্রাঞ্চ পর্য়ায়েও এমন রীতি চালু করা হয়েছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু