আরব আমিরাতে শ্রমবাজার চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন Ñপ্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি জানিয়েছেন, নতুন করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমবাজার চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয় নতুন শ্রমবাজার সম্প্রসারণেও কাজ করছে। গতকাল নিজ দপ্তরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস ২০১৭ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘অভিবাসন যেখানে, টেকসই উন্নয়ন সেখানে।’
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। সরকারিভাবে অভিবাসন ব্যয় নির্ধারিত করা আছে। কেউ যদি এর থেকে বেশি টাকা খরচ করে বিদেশে যায়, সেটা আমাদের কাছে অভিযোগ করলেই আমরা ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন, জাপানের শ্রমবাজারে ইতিমধ্যে আমরা প্রায় ৩ শতাধিক কর্মী প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে এজন্য দক্ষতা প্রয়োজন। জাপানের ভাষা শেখাটা জরুরি হয়ে পড়ায় অভিবাসীদের জন্য জাপানী ভাষা কোর্স আমরা চালু করেছি। ৪২ জেলা অভিবাসনে পিছিয়ে রয়েছে, এরমধ্যে ২২টি জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে ২২ জনকে আমরা বাছাই করে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করেছি। যেসব কর্মী যেতে ইচ্ছুক, তাদের নিজ উদ্যোগে ভাষা শিখতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে ১৬ কোটি জনসংখ্যার ৬০ ভাগ মানুষ কর্মক্ষম অর্থাৎ ১৮-৫৯ বছরের মধ্যে। প্রতিবছরে প্রায় ২২ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানে প্রবেশ করে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় বিদেশের শ্রমবাজারে আমাদের কর্মীরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি কর্মী পাঠানো হয়েছে। চলতি বছর বিভিন্ন দেশে ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৪ জন বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আশা করছি এটা ১০ লাখে উন্নীত হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে সৌদি আরবে, ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৬ জন। এরপর ওমানে ৮৩ হাজার ১৬ জন, কাতারে ৭৭ হাজার ১৪৫ জন এবং কুয়েতে ৪৬ হাজার ১৭৪ জন। বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থানে এগিয়ে রয়েছে সৌদি আরব, জর্ডান এবং ওমান। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ