বিএনপির বিজয় র্যালিতে ‘গণতন্ত্র ফেরানো’র ডাক
মাঈন উদ্দিন আরিফ : ‘গণতন্ত্র ফেরানোর’ ডাকের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে ‘বিজয় র্যালী’ করেছে বিএনপি। এই দাবিতে নেতাকর্মীদের আরো বেশি সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও এসেছে র্যালী থেকে। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দেওয়া বক্তব্য, পোস্টার, ফেস্টুন থেকে শুরু করে নেতাকর্মীরা নিজেদের শরীরেও ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ শপথের কথা বলেছেন। মহান বিজয় দিবসের একদিন পর গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই র্যালীটি শুরু হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এই ‘বিজয় র্যালী’টি উদ্বোধন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর র্যালীটি ধীর গতিতে মালিবাগ মোড়ের দিকে যায়। সেখান থেকে ঘুরে আবারো কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
দুপুর ২টায় বিজয় র্যালী শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নেতাকর্মীরা অনেক আগে থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশ এলাকায় ভিড় জমান। ছোট ছোট পিকআপ ভ্যানে বড় সাউন্ড সিস্টেমে বাজানো হয় ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ’ গানের তালে তালে, বিজয়ের সাজে বিভিন্ন রূপ ধারন করে নেতাকর্মীরা আসেন বিজয় র্যালীতে।
বিএনপি ঢাকা মহানগন উত্তর-দক্ষিন শাখা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, মহিলা দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও পৃথকভাবে মিছিল নিয়ে র্যালীতে যোগ দেয়।
কেউ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে কেউ কপালে বেধে কেউবা গায়ে জড়িয়ে আসেন র্যালীতে। এছাড়াও দলীয় প্রতীক ধানের শীষ, পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে যায় পুরো নয়াপল্টন এলাকা। র্যালীতে বাড়তি সৌন্দর্য দেয় ঐতিহ্যবাহি ঘোড়ার গাড়ি। পুরান ঢাকার বংশাল থানা বিএনপি নিয়ে আসে অনেকগুলো ঘোড়ার গাড়ি, যেগুলো বিজয় দিবসের উপজীব্য করে সুন্দর সাজে সাজানো হয়েছে।
র্যালীর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, সরকার গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতাকে হত্যা করে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়। গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা করে জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়। এদের অবস্থা থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে এই সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া বিকল্প নেই। আজকে বিজয় দিবসে সেই শপথ নিতে হবে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু