ওজন কমাতে জাপানের গবেষণা ও রাসুলুল্লাহর হাদিস
হুমায়ুন আইয়ুব : সম্প্রতি জাপানের হিরোসিমা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, সঠিক পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে খাবার খেলে ওজন ও মেদ বৃদ্ধি পায় না। মেদ বাড়ে খাবার দ্রুত খাওয়ার কারণে। এতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, খাবার খেতে হবে ধীরে সুস্থে এবং ভালো করে চিবিয়ে। তাহলে পেটে মেদ তো জমবেই না, সেই সাথে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও অনেক কমে যাবে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে পানি পান না করে বসে ও ধীরে ধীরে পানি পান করার দ্বারাও ওজন কমে। আমাদেরসময়.কম
গবেষণায় মানুষের অকাল বার্ধক্যের পেছনে ৩টি কারণের কথা উল্লেখ করা হয়। কারণ ৩টি হলো পেটে মেদ জমা, রক্তে সুগার বৃদ্ধি পাওয়া এবং উচ্চ রক্তচাপ হওয়া। আর এই ৩টি সমস্যা থেকেই মুক্ত থাকা যায় যদি ধীরে ধীরে খাওয়া যায়। জাপানের এ গবেষণার আগেই আজ থেকে ১৪শ বছর আগে পানাহার ও খাওয়া দাওয়ার সঠিক পদ্ধতি বলে দিয়েছেন নবী মুহাম্মদ সা.। তিনি উম্মতদের চিবিয়ে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এটাই নবী সা. এর সুন্নত। সেই সঙ্গে দাঁড়িয়ে পানি পানকারীকে শয়তানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। কাতাদাহ রা. বলেন, আমরা বললাম তাহলে দাঁড়িয়ে খাওয়ার হুকুম কি? আনাস বললেন, সেটাতো আরও বেশি খারাপ, আরও বেশি দূষণীয়। (মুসলিম: ৩৭৭২)।
অপর এক হাদিসে রাসুল সা. বলেন, ‘তোমরা ছুরি দ্বারা গোশত কেট না, কেননা তা আজমিদের (পারসিক) আচরণ। বরং দাঁত দ্বারা কামড়ে খাও। কারণ তা বেশি সুস্বাদু এবং হজমের দিক দিয়ে ভালো’ (আবু দাউদ ও বায়হাকি শরিফ)। এ ছাড়াও পানাহারের অনেক পদ্ধতি বলে দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল। পেটের এক-তৃতীয়াংশ খালি রাখাও সুন্নত পদ্ধতি। আর এতে ওজন কমে। বিজ্ঞানও তাই বলে। অতএব, ইসলামের প্রতিটি বিধানই মানুষের উপকারের জন্য আধুনিক বিজ্ঞান এমনটাই স্বীকৃতি দিচ্ছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন