বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের নিয়ে দল গঠন করেছে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের নিয়ে দল গঠন করেছেন এবং মন্ত্রী বানিয়েছেন। আর এদের সন্তানরা দেশের সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসীরা তাদের কখনও ভোট দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে চলছে, চলবে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যকে নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না, এটাই আজকের বিজয় দিবসের প্রতিজ্ঞা। গতকাল আওয়ামী লীগ আয়োজিত বুদ্ধিজীবী হত্যা ও বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। ওই সময় অনেকেই সাজাপ্রাপ্ত ছিল। যারা যুদ্ধাপরাধ করেছিল, তাদের জন্য রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না, তাদের ভোটের অধিকার ছিল না। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। যারা পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী যারা তৈরি করেছিল, যারা দেশকে ধ্বংস করেছে, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদেরই কেউ কেউ হয় উপদেষ্টা, কেউ কেউ হয় মন্ত্রী।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন ছিল সাধারণ এক মেজর। জাতির পিতা তাকে পদোন্নতি দিয়ে মেজর জেনারেল বানালেন। সেই বেইমান, মুনাফেক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকেই হত্যার সঙ্গে জড়িয়ে পড়লো। সে ইনডেমনিটি জারি করলো। যারা খুনি, তাদের দূতাবাসের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, এরশাদ সবাই যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করেছে। খালেদা এসে আরও একধাপ ওপরে নিয়ে গেল। যুদ্ধাপরাধী, খুনিদের হাতে তুলে দিল লাখো শহীদের রক্তে রাঙানো পতাকা। তারা হয়ে গেল মন্ত্রী। এদের সন্তানরাই দেশের সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, যারা দেশ বিরোধী, যারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেবে না। তারা কখনও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। অথচ এই ভাষণ একটা সময় নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে জনগণ এখন মাথা উঁচু করে চলছে, চলবে। সেটাই এই বিজয় দিবসের প্রতিজ্ঞা। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সম্পাদনা : তরিকুল ইসলাম সুমন