রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু হচ্ছে আজ
ফারমিনা তাসলিম : গত এক সপ্তাহ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বন্ধ ঘোষণার সময়সীমা শেষ হয়েছে গতকাল। সরকার গত ১১ ডিসেম্বর এক সপ্তাহের জন্য এ কর্মসূচি বন্ধ রাখতে সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অনুরোধ জানিয়েছিল। মূলত খাদ্য অপচয় রোধ করতে ও রোহিঙ্গাদের প্রাপ্ত খাদ্য বিক্রির প্রবণতা রোধে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি সাময়িক বন্ধ ও পুনরায় চালু প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী আহমদ। এক সপ্তাহ খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি বন্ধের ফলে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কার্যক্রম আমরা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছি। যাতে ত্রাণের অপচয় না হয়। ত্রাণ কর্মসূচি শুধুমাত্র বেসরকারি এনজিওগুলোর জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর জন্য নয়। ১৮ ডিসেম্বর আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাব কোনো অসুবিধা নেই।
শীতে রোহিঙ্গাদের জন্য কি যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে জবাবে আলী আহমদ বলেন, যথেষ্ট পরিমাণে কম্বল আছে এবং সবাইকে দেওয়া হচ্ছে। শীতের সময় অসুখ-বিসুখের প্রকোপ বেড়ে যায়। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুতি কেমন? এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আহমদ বলেন, প্রতিটা বিষয়ে আমরা সমন্বয় করছি এবং দেখছি। কয়েকদিন আগে ডিপথেরিয়ার মতো কিছু দেখা দিয়েছিল। সেটাও এখন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। যদিও রোগটি ডিপথেরিয়া কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ডিপথেরিয়ার রোগটি নির্ণয়ের ব্যবস্থা আমাদের এখানে হয় না। তবে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি। সূত্র : বিবিসি বাংলা