আল্লাহ কী বান্দাদের গুনাহ ক্ষমা করবেন
মুফতি আবদুল্লাহ তামিম : পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান মান্যকারী ও অমান্যকারী উভয়কেই রিজিক দিচ্ছেন। তারপরও আল্লাহ গুনাহগার বান্দাদের জন্য ক্ষমার ঘোষণা দিয়ে বলেন : তোমাদের মধ্যে কেউ অজ্ঞতাবশত যদি খারাপ কাজ করে অতঃপর তওবা (অনুশোচনা) করে এবং (নিজেকে) সংশোধন করে, তাহলে তো আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আনআম-৫৪) এতেও ইমানদারদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। কেননা এ গুণ তাদেরই যে নিজের অজান্তে অথবা জৈবিক চাহিদার কারণে কোনো পাপ করে বসে এবং সত্বর তওবা করে নিজেকে সংশোধন করে নেয়। অব্যাহতভাবে পাপ করে না। তাওবা ও প্রত্যাবর্তন থেকেও বিমুখতা অবলম্বন করে না।
আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা ফুরকান-৭০) যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আল্লাহর দিকে আসে। (সূরা ফুরকান-৭১) এবং যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়। (সূরা ফুরকান-৭২) এবং যাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধির সদৃশ আচরণ করে না। (সূরা ফুরকান-৭৩) তাদেরকে তাদের সবরের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেওয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা করা হবে। (সূরা ফুরকান-৭৫) তথায় তারা চিরকাল বসবাস করবে। অবস্থানস্থল ও বাসস্থান হিসেবে তা কত উত্তম। (সূরা ফুরকান-৭৬) বলুন, আমার পালনকর্তা পরোয়া করেন না যদি তোমরা তাকে না ডাক। তোমরা মিথ্যা বলেছ। অতএব সত্বর নেমে আসবে অনিবার্য শাস্তি। (সূরা ফুরকান-৭৭) তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমুখী হও এবং তার আজ্ঞাবহ হও তোমাদের কাছে আজাব আসার পূর্বে। এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না; ( সুরা যুমার-৫৪)
তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ উত্তম বিষয়ের অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অতর্কিতে ও অজ্ঞাতসারে আজাব আসার পূর্বে, (সূরা যুমার-৫৫) যাতে কেউ না বলে, হায়, হায়, আল্লাহ সকাশে আমি কর্তব্যে অবহেলা করেছি এবং আমি ঠাট্টা-বিদ্রুপকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। (সূরা যুমার-৫৬) বান্দা যেন এই কথা বলতে না পারে যে, আল্লাহ যদি আমাকে পথপ্রদর্শন করতেন, তবে অবশ্যই আমি পরহেজগারদের একজন হতাম। (সূরা যুমার-৫৭)। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন