জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তান ভেঙ্গে জন্ম হয় বাংলাদেশের সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ ভট্টাচার্য
রফিক আহমেদ : ঐক্য ন্যাপের আহবায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তান ভেঙ্গে জন্ম হয় বাংলাদেশের। আজ সেই গণতন্ত্রের নামে দলতন্ত্র হতে পারে না। গতকাল রোববার একান্ত সাক্ষাৎকারে এ প্রতিবেদকের কাছে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারি দল ও প্রধান বিরোধীদলসহ সকল গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে যখন মতো প্রার্থক্য দেখা দিয়েছে- তখন সমঝোতার বিপরীতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছে রাজনৈতিক অঙ্গণে। যার ফলে রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের পরিসর সঙ্কোচিত হচ্ছে। এখন থেকেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা, অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ ও অস্থিতিশীলতার লক্ষণ ফুটে উঠেছে। কার্যত প্রাথমিক নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। সরকার প্রধান ও প্রধান বিরোধীদল পরস্পরের প্রতি অরুচিকর ও অশোভন বাক্য অচিরেই বন্ধ হওয়া উচিত।
ঐক্য ন্যাপের আহবায়ক বলেন, গণতন্ত্রের পরিসর ও পরিবেশ সম্প্রসারণ অতিজরুরি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দেবে, তবে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করারক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে না। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীর হুমকি বৃদ্ধির প্রশ্চাতে দেশব্যাপী সম্প্রসারণ তথা পাকিস্তানী করণের মাধ্যমে ধর্মান্ধ বাতাবরণ সৃষ্টি প্রধানত দায়ী। এক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনের মাথা নেই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত এখনো নিষিদ্ধ কেন নয়-এর জবাব কেউ দিচ্ছেন না। বিএনপি কখনো জামায়াত ছাড়বে না এবং আওয়ামী লীগ জামায়াতকে ছাড় দেবে। জামায়াত প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে এখন বহাল তবিয়তে আছে। জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠন দেশের যেসব বুদ্ধিজীবীদের বিজয়ের প্রাক্কালে হত্যা করেছে, তাদের বিচার ৪৬ বছরেও করা হয়নি। এক্ষেত্রে সরকার ও বিরোধীদলের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জন্ম হয় সাম্প্রদায়িকতাকে কবর দিয়ে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আশ্রয় প্রশ্রয় ও তোষণ করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কথা কারো মুখে মানায় না। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে সকল সম্পর্ক চিহ্ন করে শহীদদের রক্তদানের প্রতি আনুগত্য রেখে ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ টিকতে ও বাঁচতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে নতুন করে আরেক মুক্তিযুদ্ধে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদ ও লুটেরা সমাজকে ভেঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষতা, সমতা ও শোষণহীন আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে-এটাই হতে হবে আজকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।