৫ বছরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও জঙ্গি হামলায় ২৭ পুলিশ নিহত
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : গত ৫ বছরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও জঙ্গি হামলায় পুলিশ বাহিনীর ২৭ সদস্য নিহত ও ২৫০ সদস্য আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত হন। এছাড়া গুলশান হলি আর্টিজান, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ও সিলেটের আতিয়া মহলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলায় পুলিশ নিহতের ঘটনা রয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্যমতে, ২০১৩ সালে ১৫ সদস্য নিহত ও ১৪৩ আহত, ২০১৪ সালে ৩ জন নিহত ৩৩ জন আহত, ২০১৫ সালে ৩ নিহত ৪৫ জন আহত, ২০১৬ সালে ৪ জন নিহত ও ২০ জন আহত, ২০১৭ সালে ২ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকাতে জামাত বিএনপি জোট ২০১৩ সালের শুরুতেই দেশব্যাপী ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে। টানা হরতাল-অবরোধ, চলন্ত বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ ও চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করে তারা। এসব হামলার ঘটনায় ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত হন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম নিহত হন। এই ঘটনায় আরও অর্ধশত পুলিশ আহত হয়। হলি আর্টিজানে হামলার রেশ না কাটতেই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে জঙ্গিরা। এসময় আনসারুল্লাহ ও জহিরুল হক নামে ২ পুলিশ কনস্টেবল নিহত এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
চলতি বছরের ২৩ মার্চ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় পাঠানপাড়ায় ‘আতিয়া মহল’-এ জঙ্গীদের ধরতে গেলে ওইদিন সন্ধ্যায় পাঠানপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণে আহত হন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আযাদ। পরে তিনি ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় সিলেট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক চৌধুরী মুহাম্মদ আবু কায়সার দীপু, জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম নিহত হন। এ বিষয়ে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা পুলিশী নেটওয়ার্কের মধ্যে রয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান করে সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা নিয়ে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম