সিলেটে আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রদের বিরুদ্ধে নারীদের শৌচাগার ভাঙার অভিযোগ
মুরাদ হাসান : সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকায় নারী ও প্রতিবন্ধীদের ব্যবহারের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্মাণাধীন শৌচাগারের দেয়াল পুলিশের উপস্থিতিতেই ভেঙে ফেলেছেন সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা। গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে শৌচাগারটি ভেঙে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধী ও নারীদের জন্যে সম্প্রতি চৌহাট্টা এলাকায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ও উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইডের সহযোগিতায় ‘ওয়াশ ব্লক’ বা শৌচাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। উদ্যোগ অনুযায়ী শৌচাগার নির্মাণের কাজও শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদ্রাসার প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র এসে শৌচাগারের দেয়াল ভাঙতে শুরু করে। পরে একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে ছাত্ররা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেই শৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য অজু ও গোসলখানা নির্মাণ করে দেব বলেছি। তবু ছাত্ররা কেন ভাঙচুর করল বুঝতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসার একেবারে ভেতরে শৌচাগার নির্মিত হচ্ছে না। এটি নির্মাণ করা হচ্ছে মাদ্রাসার পাশে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের পাশে। মাদ্রাসার মাত্র ৯ ফুট জায়গা আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবহার করেছি।
ভাঙচুরকারী ছাত্ররা বলেছেন, মাদ্রাসার জায়গায় শৌচাগার নির্মিত হলে ‘পবিত্রতা’ নষ্ট হবে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। মাদ্রাসা থেকে নেওয়া জায়গায় গোসলখানা ও সিভিল সার্জনের জায়গায় শৌচাগার নির্মিত হবে।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, এরকম একটি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজে বিরোধিতা করা, মাস্তানের মতো হামলা চালানো খুবই দুঃখজনক।
সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান, শৌচাগারের দেয়াল ভাঙার খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাগো নিউজ