মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম : মরহুম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তার পিতার কুলখানিতে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে নাশকতার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তিনি বলেন, অসাবধানতাবশত এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা আমরা জানতে চাই। কেউ পরিকল্পিতভাবেও এ ঘটনা ঘটাতে পারে। রিমা কমিউনিটি সেন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখার দাবি জানিয়ে নওফেল বলেন, এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন হাতে পেলে নিশ্চিত করে বলা যাবে কী ঘটেছে। সোমবার রাত ১২টায় নগরীর বলুয়ারদিঘী শ্মশানে পদদলিত হয়ে নিহত ১০ জনের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে এসে তিনি এ সন্দেহ প্রকাশ করেন। এদিকে সোমবারই পদদলিত হয়ে ১০ জন মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে নগরীর চকবাজার থানায় নিহত ঝন্টু দাসের ভাই অরুণ দাস মামলাটি দায়ের করেন। একইদিন মর্মান্তিক ওই ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। গত সোমবার রাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীরকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন কবির, নগর পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা, গণপূর্ত উপ-বিভাগের প্রকৌশলী এসএম শাহরিয়ার নেওয়াজ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তদন্ত শেষে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার রমিজ আলম।
সিএমপির সহকারী কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তদন্ত কমিটির নির্দেশে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তিনি জানান, পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহতের ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের এই কমিউনিটি সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে যদি কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসে তখন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর কোনো কিছু না পেলে তা তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
মরহুম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে নাশকতার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। আহতদের মধ্যে ৩০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। গুরুতর আহত ২০ জন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্পণ বিশ্বাস (২২), গার্মেন্টকর্মী সুমন নাথ (৪৫) ও ফানু সাহা (৫১)। ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে রবিন দাশ, বাসিক সিংহ, মনোজ বড়ুয়া, সুকুমার দাশ ও উজ্জ্বল চৌধুরী, রামদুলাল, মো. হারুন, চিত্তরঞ্জন সিংহ, অজয় দাশ, অরুণ কান্তি দাশ, আশোক কুমার, মিন্টু দাস, সুমন, কানু ও শুভ দাস । সম্পাদনা : ইকবাল খান