রক্তাক্ত বড়দিন
না, কোন প্রতীকী উৎসর্গ নয়!
নয় কোন কৃত্তিম ঝর্ণা ধারার জল,
আদি দেবতার ঝর্ণা জলে সিক্ত একবিংশ সভ্যতা!
খ্রিস্টের উপাসনালয়ে ভক্তের আগমনে
সুসজ্জিত খ্রিস্টমাস ট্রিতে আলোকের খেলা,
হারমোনিয়ামে আগমনী গান, তবলায় আনন্দের তাল।
শুভ্র বসনে যাজকের প্রবেশ,
হাতে পানপাত্র-রুটি, বাইবেল,
মুখে সিগ্ধ হাসি।
অতপর তিনি শোধালেন,’ঐ দেখ, ঈশ্বর পুত্র,
যাঁর আসার কথা ছিল, তিনি এসেছেন, রক্ত-মাংস হয়ে
পুণ্য বেদী পরে।
হঠাৎ –
আনন্দে তুমরি বোমার উল্লাস!
ধূমায়িত গির্জা। বেঞ্চ, চেয়ার, তবলা
শুন্যে উড়াউড়ি, শুধু কান্না আর কান্না!
বেদীর উপরে রক্তাক্ত একটি হৃৎপি-,
পানপাত্রে ত্যাগের রক্ত।
অবশেষে যাজক বলেন, এই আমার দেহ ও রক্ত,
নাও সকলে প্রভুর আগমনে।
নিরুত্তর-নিস্তব্ধ মানুষ, জবাব নেই।
কোন এক বৃদ্ধার, আকুল আবেদন –
প্রভু ক্ষমা করো এদের।
বিবেক বলে, এ আমার একবিংশ শতাব্দীর –
রক্তাক্ত বড়দিন।